১৮তম ওভারে তাসকিনকে চার মারলেন খুলনার অধিনায়ক রিয়াদ। টিভির পর্দায় ভেসে উঠল একটি মলিন মুখ। এম এ রশিদ মনু। তাসকিনের বাবা। ছুটির দিনে মাঠে এসেছিলেন। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ওই চার দেখেই বুঝে যান ছেলের দল চিটাগাং ভাইকিংসের হারের জন্য এটি যথেষ্ট।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইটান্স জয় পেয়েছে ৫ উইকেটে। শুরুতে রুশো ৪৯ করে দিয়ে যাওয়ার পরও খুলনার জয় অসম্ভব মনে হচ্ছিল। সেটি সম্ভব হয় রিয়াদের ব্যাটিংয়ে। ৩৫ বলে ৪৮ করে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেষ দিকে কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ২ বলে ১০ রান তুলে ম্যাচ শেষ করেন।
৬ ম্যাচে খুলনার এটি তৃতীয় জয়। পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা। সমান সংখ্যক ম্যাচে এক জয় তাসকিনদের। শেষ দিক থেকে দ্বিতীয় তারা!
বিপিএলে দেশি ক্রিকেটাররা জ্বলতে পারছেন না-এই অপবাদ থেকে শুক্রবারের মিরপুর কিছুটা হলেও রক্ষা করতে এগিয়ে আসবে। দিনের প্রথম ম্যাচে জাকির হাসান (২৬ বলে ৫১*) নায়কোচিত এক ইনিংস খেলে রাজশাহীকে জয় এনে দেন। ঠিক পরের ম্যাচে সৌম্য সরকার-এবং এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে ভর করে ৫ উইকেটে ১৬০ রানের সংগ্রহ পায় চিটাগাং ভাইকিংস। পরে রিয়াদ ঝলক।
বিজয়কে এদিন শুরুতে বেশ নড়বড়ে মনে হয়। অফস্টাম্পের বাইরের বলে স্কয়ারকাট, স্কয়ার ড্রাইভে নাগাল পাচ্ছিলেন না। সেই বিজয় ৩৭ বল নাগাদ অর্ধশতক স্পর্শ করেন বিদ্যুতগতির এক স্কয়ারকাটে, ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চোখের পলকে পাঠান সীমানার বাইরে। বিজয় পরে ৪৭ বলে ৬২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এই মৌসুমে আগের চর ম্যাচে বিজয়ের সর্বোচ্চ রান ছিল ১৮। সৌম্য সরকার ৩৪ বলে ৩২ করেন।
বিজয়, সৌম্য ফিরে যাওয়ার পর এসেই পথ ধরেন সিকান্দার রাজা। ৮ বলের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভাইকিংস। এরপর নাজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে সাউথ আফ্রিকার স্টিয়ান ভান জিল স্কোর বড় করার চেষ্টা করেন। নাজিবুল্লাহ ১৬ বলে ২৪ করে শেষ ওভারে রানআউট হন। ১৫ বল খেলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন স্টিয়ান।
খুলনার আবু জায়েদ চৌধুরী তিনটি উইকেট নেন। রিয়াদ ফেরান একজনকে।
জবাব দিতে নেমে দলীয় ১৫ রানের মাথায় ক্লিঞ্জারকে হারায় খুলনা। শুরুর ধাক্কা সামলে নেন রুশো। ২৬ বলে ৪৯ করে আল-আমিনের বলে বোল্ড হন। ৪ রানের মাথায় ধীমান ঘোষ ফিরে গেলে হাল ধরেন অধিনায়ক রিয়াদ। তাকে ভালো সঙ্গে দেন আরিফুল হক। ২৪ বলে ৩৪ করে যান তিনি।
চিটাগাং ভাইকিংস ১৬০/৫
খুলনা টাইটান্স ১৬৪/৫
৫ উইকেটে জয়ী খুলনা