হলিউডের সেরা অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন ‘টাইটানিক’ খ্যাত লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। গত বুধবার (১১ নভেম্বর) ৪৬ বছরে পা রাখলেন অস্কারজয়ী জনপ্রিয় এই অভিনেতা।
মূলত টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে কাজের মাধ্যমে ডিক্যাপ্রিওর কর্মজীবন শুরু। এরপর ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে টেলিভিশন ধারাবাহিক দিয়ে তিনি শুরু করেন তার অভিনয় জীবন। মহাকাব্যিক রোমান্টিক ছবি ‘টাইটানিক’ এর জ্যাক ডসন চরিত্রে অভিনয় করে বিশ্বব্যাপী তিনি তারকা খ্যাতি লাভ করেন। ছবিটি সেসময় ও পরবর্তী এক দশক সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র হিসেবে তালিকায় ছিল।
এরপর তার অভিনীত কয়েকটি চলচ্চিত্র বাণিজ্যিকভাবে ব্যর্থ হলেও ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় নেননি তিনি। ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান, গ্যাংস অব নিউইয়র্ক, দ্য অ্যাভিয়েটর, দ্য ডির্পাটেড, শাটার আইল্যান্ড, দ্য উলফ অব ওয়াল স্ট্রিট, দ্য গ্রেট গ্যাটসবি, ইনসেপশন, রেভিন্যান্টের মতো সিনেমা উপহার দিয়ে দর্শকের মনে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা ফিরে পান।
চলুন এক নজরে জেনে নেওয়া যাক তার অভিনীত এমনই পাঁচটি জনপ্রিয় সিনেমা সম্পর্কে:
ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান
২০০২ সালে মুক্তি প্রাপ্ত স্টিভেন স্পিলবার্গ পরিচালিত ‘ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান’ ছবিটি ছিল লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও অভিনীত অন্যতম জনপ্রিয় একটি ছবি। যেখানে লিওনার্দোকে দেখা গিয়েছিল হলিউডের একঝাঁক জনপ্রিয় অভিনেতাদের সাথে। যার ভেতর অন্যতম নাম ছিল টম হ্যাঙ্কস, ক্রিস্টোফার ওয়ালকেন এবং মার্টিন শীন। ছবিটি বর্তমানে দেখতে চাইলে দর্শকরা নেটফ্লিক্সে স্ট্রিমিং করতে পারবেন।
দ্য ডিপার্টেড
‘ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান’ মুক্তির চার বছর পর লিওনার্দোর ‘দ্য ডিপার্টেড’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। অপরাধ জগতকে ঘিরে নির্মিত ছবিটির পরিচালনা করেছিলেন মার্টিন স্করসিস। অভিনয়ের দিক থেকে ছবিটিতে কোনো ধরনের কমতি ছিল না তার। মূল দুই চরিত্রে ম্যাট ডেমন এবং লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও নিজেদের অভিনয়ের সেরাটুকু দিয়েছেন। এছাড়া আরেক হলিউড হিরো মার্ক ওয়ালবার্গ পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করলেও তার অভিনয় চোখে পড়ার মত ছিল।
রেভুলেশনারি রোড
‘টাইটানিক’ এ অভিনয়ের পর লিওনার্দো ও কেট উইন্সলেটকে আবারও একসাথে দেখা যায় ‘রেভুলেশনারি রোড’ ছবিটিতে। রোমান্টিকতায় ভরপুর এই ছবিটিও দর্শকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এই ছবিটিও উপভোগ করতে পারবেন নেটফ্লিক্সে।
২০১০ সালে মুক্তি প্রাপ্ত আমেরিকান সাইকো-থ্রিলার সিনেমা ‘শাটার আইল্যান্ড’। একই নামের উপন্যাস (২০০৩সালে প্রকাশিত) থেকে সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছে। সিনেমাটির কাহিনী অত্যন্ত জটিল এবং দুর্বোধ্য মনে হলেও সিনেমাটি শেষ হলে কাহিনী দেখে দর্শক বিরাট ধাক্কা খাবেন। মার্টিন স্করসিস পরিচালিত এই ছবিটিতে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসিত হয়েছিলেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও।
হলিউডে কোয়ান্টিন টোরেন্টিনো পরিচলিত সিনেমা মানেই সুপার হিট! তার পরিচালিত সিনেমার সংখ্যা কম হলেও প্রত্যেকটি সিনেমাই থাকে দেখার মত। তেমনি একটি সিনেমা হল লিওনার্দো অভিনীত ‘জ্যাঙ্গো
আনচেইন্ড’। রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চারে ভরপুর এই ছবিটি দর্শকদের বেশ পছন্দের।