জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিতের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ ও বিক্ষোভরত বিভিন্ন সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৩০-৪০ জনকে পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা৷ বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হল ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা সংক্রান্ত আন্দোলন লক্ষ্য করা গেছে। এবার নতুন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই পরিস্থিতি।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যায়ক্রমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা বিষয়ে পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হওয়াতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বন্ধের ঘোষণা আসাতে তারা ক্ষুব্ধ। দীর্ঘ প্রায় একবছর টানা বন্ধ থাকার কারণে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে হতাশা ও অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে, এসব অস্থিরতা তারই প্রকাশ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে দেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ২৪ মে থেকে খুলবে, এর আগে ১৭ মে থেকে হল খোলা হবে বলে আগেই জানানো হয়েছে। করোনার প্রকোপ ধীরে ধীরে কমে আসছে, চলছে ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি। সার্বিক বিষয়ে সরকার করোনা পরিস্থিতির নানাদিক বিবেচনা করে শীঘ্রই দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে জোর দিয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিশু ও তরুণদের করোনার ঝুঁকি অনেক কম বলে বৈশ্বিক নানা গবেষণায় প্রমাণিত। আর সেজন্যই বিশ্বের অধিকাংশ দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছে এই করোনাকালেও। তবে নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সেগুলো করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আরও কিছুটা সময় ধৈর্য্য ধরা উচিত বলে আমরা মনে করি। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। হুটহাট করে কোনো সিদ্ধান্ত বা ঘোষণা শিক্ষার্থীদের মনে নানা আশঙ্কার জন্ম দিতে পারে। আমাদের আশাবাদ, সবার সম্মিলিত বোধের জায়গা আরও বাস্তবমুখী ও ইতিবাচক হবে এবং করোনার এই দু:সময় কাটিয়ে শিক্ষাঙ্গণ আবার মুখরিত হবে শিক্ষার্থীদের পদচারণায়।