‘দেশে গণতন্ত্র নেই’ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই বিএনপি নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, ‘টেলিভিশনের বিভিন্ন ‘টক-শো’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে ভাষায় কথা বলা হয়, তারপরও টক-শো থেকে ফেরার সময় কাউকে বাধা দেওয়া হয়েছে? হয়নি। তবুও বিএনপি বলে দেশে গণতন্ত্র নেই। এগুলো বিএনপির নালিশের ভাঙা রেকর্ড।’
সোমবার সন্ধ্যায় গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে ‘রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার গ্রেপ্তার দিবস’ উপলক্ষে যুবলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় কাদের এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, বিএনপির নেতারা অগণতান্ত্রিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি-গালাজ করার পরও পুলিশ তাদের পল্টন অফিসের সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করেনি।
‘দেশে গণতন্ত্র না থাকলে বিএনপির নেতারা অসত্য, অশ্রাব্য, অগণতান্ত্রিক ভাষায় কথা বলতে পারতো না। দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই বিএনপি নেতারা টকশোতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের বিরুদ্ধে স্বাধীনভাবে যা খুশি তা বলছে বিএনপি নেতারা।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে ঘরে ফেরার পথে অগণতান্ত্রিকভাবে কেউ কি তাদের বাধা প্রধান করছে? স্বাধীনভাবে যা-তা বলে কোনো প্রকার আক্রান্ত না হয়েই বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। তারপরও বলছেন দেশে গণতন্ত্র নেই।
‘দেশে গণতন্ত্র নেই’ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ বক্তব্যকে বিএনপির নালিশের ভাঙ্গা রেকর্ড মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপির এসব নালিশ চলতে থাকে। তাদের এসব অভিযোগের জবাব আমরা আমাদের উন্নয়ন, আমাদের অর্জন ও আমাদের নেত্রীর সততা দিয়ে দিব।
বিএনপির গঠনতন্ত্র থেকে সাত ধারা বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, সাত ধারা বাদ দিয়ে বিএনপি নিজেরাই খালেদা জিয়া- তারেক জিয়াকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করেছে। এ ধারা বাদ দেওয়ায় দলটি আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ ও উন্মাদ দল হিসেবে পরিচয় দিয়েছে।
দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সফল কিনা? এমন আলোচনায় তিনি বলেন: আমি যতো পরিশ্রমই করিনা এটার মূল্যায়ন হবে নেক্সট ইলেকশনে। আগামী নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ জিততে না পারে, তাহলে আজকের এই সব গালিতে পরিণত হবে। যারা প্রশংসা করছেন তারা তখন বলবেন, ব্যর্থ সাধারণ সম্পাদক। তখন পদ্মাসেতুরও কোন দাম নেই গাজীপুর, খুলনা, নারায়ণগঞ্জের বিজয়েরও কোন দাম নেই। সামনের তিন সিটি করপোরেশনে জিতলেও তার দাম থাকবে না।
যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাট, উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।