জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
রোববার সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্টের প্রতিটি প্রবেশপথ ও আদালত চত্বরের অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়াও আর্চওয়ে এবং মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করে আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্টদের আদালত চত্বরে প্রবেশ করানো হয়।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর খালেদা জিয়ার এই জামিন আবেদনটি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য এলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বলেন: ‘এটি আমারা পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে (আপিল বিভাগের সাত বিচারপতি) শুনব। এরপর জামিন আবেদনের বিষয়টি শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করা হয়। তবে ওইদিন সুপ্রিম কোর্টে আজকের মত বাড়তি নিরাপত্তা ছিল না।তবে পরেরদিন গত মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাবের দিক থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে হঠাৎ সুপ্রিম কোর্টের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। তখন সুপ্রিম কোর্টের সবগুলো ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরে পুলিশ নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিতে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের ধাওয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দায়িত্বে থাকা পুলিশের এডিসি নাদিয়া ফারজানা চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘এর আগে গত মঙ্গলবার বিএনপির নেতাকর্মীরা হঠাৎ সুপ্রিম কোর্টের সামনের সড়কে বসে পড়ে। পরে সড়কে গাড়ি ভাঙচুরেরও ঘটনাও ঘটে। তাই আজ এখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’