শুক্রবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের সঞ্চালনায় ‘এসকে সিনহার স্বপ্নভঙ্গ: বিচার বিভাগের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন , বিচারপতি সিনহা জুডিশিয়াল ক্যু করতে চেয়েছিলেন। তিনি বিচার বিভাগকে কলঙ্কিত করেছেন। প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন পুরো বিচার ব্যবস্থাকে। এটা তার কাছ থেকে কেউই আশা করেনি।
তিনি আরও বলেন , নারী সাংবাদিককে অপমানের জন্য ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের পক্ষ নিয়েছেন ঐক্যপ্রক্রিয়ার নেতা ড. কামাল হোসেন। তিনি মইনুল হোসেনের পক্ষে ক্ষমা চাইতে পারেন।
আলোচনা সভায় অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, সিনহা বাবু বিচার ব্যবস্থা নিয়ে যে বই লিখেছেন, এতে দেশ-জাতির কী লাভ হয়েছে জানি না, তবে বিচার ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষতি আমাদের রিপেয়ার করতে হবে।
দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় বলেন, মি. সিনহার মধ্যে উচ্চাভিলাষ ছিল। সে কারণেই তিনি বিচারব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। তবে একজন দু’জন খারাপ রাজনীতিবিদের কারনে যেমন সকল রাজনীতিবিদরা খারাপ হতে পারেন না ঠিক তেমনি নিশ্চয় বিচারপতি সিনহার কারনে পুরো বিচার বিভাগ প্রশ্নবিদ্ধ হবে না।
তিনি আরও বলেন বিচারপতি সিনহা যেদিন সাকার পরিবারের সাথে দেখা করলেন সেদিন থেকেই তিনি বিচারপতি পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. নাজমুল হোসেন কলিমুল্লাহ, আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেক রহমান, সাবেক ছাত্র নেতা বাপ্পাদিত্য বসু, ডঃ বদরুল হাসান কচি প্রমুখ।
গোলটেবিল বৈঠক বক্তারা বিচারপতি সিনহার দুর্নীতির বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে এই বইটিকে সরকারের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত চক্রান্তের ফসল বলে অভিহিত করেন। বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে আইন করার জোর দাবি উঠে আসে এই গোলটেবিল বৈঠকে।
সাংবাদিক রাশেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনলাইন নিউজ পোর্টাল দেশইনফো.কম.বিডির উদ্যোগে এই গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।