দেশে ঘটে যাওয়ার পর পর দু’জন বিদেশী হত্যাকাণ্ডে বিএনপি-জামায়াত চক্র জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন নিয়ে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। ওই সফরে প্রধানমন্ত্রী চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ ও আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার গ্রহণ করেছেন।
এরপরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তৃতা ও বিশ্ব নেতাদের সাথে সাক্ষাত শেষে শনিবার তিনি লন্ডন হয়ে দেশে ফিরলে জনতা বিপুল সংবর্ধনা দেয়।
১১: ৩০ মিনিট
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
গণভবনে সাংবাদিকদের সামনে যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে ব্রিফ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
১১: ৪৫ মিনিট
যুক্তরাষ্ট্র সফরে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল পূরণ, জাতিসংঘ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফোরামে বক্তব্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্থল সীমান্ত চুক্তি ও তিস্তা নিয়ে বৈঠক, চীনের শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক, যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা তুলে ধরছেন প্রাধনমন্ত্রী। এছাড়া এই সফরে অর্জিত পুরস্কারগুলোর বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাত, জাতি সংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়ে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমন্ত্রণে সন্ত্রাস বিরোধী সম্মেলনে যোগ দেয়ার কথা জানান তিনি। বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানের দেয়া সফরের আমন্ত্রণের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমকে পাশে থাকার আহ্ববান জানিয়ে প্রশ্ন পর্ব শুরুর কথা বলেন তিনি
১২:১০ মিনিট
সমকাল পত্রিকার সম্পাদক গোলাম সরোয়ার প্রশ্ন করেন- দুই বিদেশী নাগরিক হত্যা, পশ্চিমা গণমাধ্যমে আইএস ও বাংলাদেশকে জড়ানো, এই যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা নিয়ে সরকার কী করছে?
প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: দুজন হত্যার ধরণ এক রকম। নিরাপত্তার অজুহাতে স্ফর বাতিল করা অস্ট্রেলিয়াতেও দুজনকে হত্যা করা হয়েছে, মার্কিন স্কুলে গুলিতে মারা গেলো ১০ জন। তখন তো রেড এল্যার্ট জারি হয়নি!
মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল প্রশ্ন করেন- সফরে বাংলাদেশের সরকার সম্পর্কে বিদেশী রাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রীকে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে?
প্রধানমন্ত্রী উত্তরে বলেন: ওবামা সহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিভিন্ন ফোরামে। তারা কেউ সরকারের বৈধতার প্রশ্ন তোলা দূরে থাক উল্টো সরকারে সাফল্যের প্রশংসা করেছেন।
১২: ৩০ মিনিট
নাঈমুল ইসলাম খান প্রশ্ন করেন- দুই বিদেশী নাগরিক হত্যায় সরকারের তৎপরতা কী?
প্রধানমন্ত্রী উত্তরে বলেন, দেশের হাহাকার প্রবণতা আগে দূর করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে। সরকার, গোয়েন্দা বাহিনী সবাই সজাগ আছে।
৭১ টিভির সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু প্রশ্ন করেন- সরকার ও দলের মধ্যে অসমন্বয়র রয়েছে কি?
উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন: প্রত্যেক গাছের শেকড় থাকে। আমার শেকড় আমার দল। একটা বড় সংগঠনে এরকম অনেক ঘটনা ঘটে। তবে সেসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কি না তা দেখুন। ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। দেশ ও দলের স্বার্থে।
মুন্নি সাহা প্রশ্ন রাখেন- দুই বিদেশী হত্যাকাণ্ডে আইএস সম্পৃক্ত নয় এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কীভাবে নিশ্চিত হচ্ছেন? বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে কেনো নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যেও পাকিস্তানে পাঠানো হলো?
উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন: ঘটনার পর শিকাগো থেকে আইএস বিষয়টি কেনো আসলো? এটা সন্দেহজনক। তদন্ত না করে স্ট্যাটাসকে ভিত্তি করে কিছু বলা ঠিক না। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইএস সংশ্লিষ্টতার কথা বলেননি। আইএস এর বিষয়টি শুধু গোয়েন্দারাই কেনো দেখবেন, সাংবাদিকদেরও দায়িত্ব আছে তথ্য যোগাড় করার।
পাকিস্তানে খেলতে যাওয়া বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মেয়েদের সাহস আছে। পাকিস্তানে গিয়ে তারা সাহসের পরিচয় দিয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে বৈরিতা আছে তবে ক্রিকেট অঙ্গনে পাকিস্তান একটি প্রতিষ্ঠিত নাম। সেখানে বাংলাদেশের খেলতে যাওয়াটা দোষের কিছু নয়।
১২:৫০ মিনিট
জ ই মামুন প্রশ্ন করেন- বাংলাদেশকে অব্যাহত জঙ্গিবাদের হুমকি মোকাবেলায় কিভাবে প্রস্তুত করছেন প্রধানমন্ত্রী?
প্রধানমন্ত্রী জবাবে বলেন: সবার আগে দেশের মানুষের মধ্যে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। জঙ্গিবাদী মানসিকতা তৈরি হতে দেয়া যাবে না। আন্তর্জাতিক পরিসরে এদের অস্ত্র ও সমর্থন না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন জঙ্গিদের কোনো দেশ-ধর্ম নেই, এরা সবার জন্য হুমকি।
১২.৫৫ মিনিট
সংবাদ সম্মেলন শেষ