১৪ দলের সঙ্গে বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন: গ্রাম পর্যায়ে উন্নয়ন পৌঁছে দেয়া হয়েছে, দেশের মানুষ ভোট দিলে দেশকে আরও উন্নত করতে পারব, আশা করি, উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে মানুষ আমাদের ভোট দেবে।
‘‘আওয়ামী লীগের অধীনে সব নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়েছে। আগামীতে জনগণ যাকে ভোট দিবে তারাই ক্ষমতায় আসবে। ১৪ দলের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে গণভবনে তিনি একথা বলেন’’।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে গণভবনে শুরু হওয়া এ বৈঠকে ১৪ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সরকারের শরীক রাজনৈতিক দল গুলোর সমন্বয়ক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেন: ভোট গণতান্ত্রিক অধিকার। ভোট নিরপেক্ষ হবে এতে কোনো সংশয় নেই। জনগণ যাকে ভোট দেবে তারাই সরকার গঠন করবেন। তবে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জনগনের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন: দেশের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, দেশের মানুষের মধ্যে নতুন স্বপ্ন জাগ্রত হয়েছে। আবার ক্ষমতায় আসতে পারলে দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে পারব। তা না হলে দেশের সকল উন্নয়ন নষ্ট হয়ে যাবে।
এর আগে সংলাপের বসার আগ্রহ জানিয়ে ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেয় ইসলামী ঐক্যজোট। সেদিন বিকাল ৫টায় আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয়ে দলীয় চিঠি নিয়ে যান ইসলামী ঐক্যজোটের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইন ও মাওলানা আনছারুল হক ইমরান। আওয়ামী লীগের পক্ষে চিঠি গ্রহণ করেন দলের উপ-দপ্তর দপ্তর সম্পাদক ব্যরিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
বৃহস্পতিবার ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) নিয়ে গঠিত ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন শুক্রবার সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী’র নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ হয়।
শনিবার জেল হত্যা দিবসে কোন সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়নি। আজ রোববার আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জোটের অংশীদার ১৪ দলের সঙ্গে সংলাপে বসেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এর ধারাবাহিকতায়, আগামীকাল বর্তমান সংসদের বিরোধীদল সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপে বসবেন প্রধানমন্ত্রী।
সংলাপের পঞ্চম পর্যায়ে মঙ্গলবার দুপুর ২টায় ইসলামী ঐক্যজোট এবং সন্ধ্যা সড়ে ৭টায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে সংলাপ করবেন সরকার প্রধান।
সংলাপের ইচ্ছা প্রকাশ করে এ পর্যন্ত ৬১ চিঠিতে প্রায় ৮০টির মত দল সংলাপে অংশ নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানানো হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর থেকে।