নেইমার-এমবাপেদের পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে ষষ্ঠবারের মতো ইউরোপসেরার মুকুট জিতেছে বায়ার্ন মিউনিখ। একমাত্র গোলটি করেন কিংসলে কোম্যান।
এ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জেতার পথে নিজেদের ১১ ম্যাচের সবকটিতে জিতে ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে অনন্য এক রেকর্ডও গড়ল বাভারিয়ানরা। তাদের আগে যে সব ম্যাচে জেতেনি কোনো দলই।
জার্মান ঘরোয়া লিগ বুন্দেসলিগা, জার্মান কাপ জয়ের পর এ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফিও জয়, বায়ার্ন মৌসুমের তিন বড় শিরোপার সম্মিলিত ট্রেবল জিতল। নিজেদের ক্লাব ইতিহাসে দ্বিতীয়বার এমন অর্জন, ২০১৩ সালেও একই কীর্তি গড়েছিল তারা। আর কেবল বার্সেলোনারই আছে একাধিকবার ট্রেবল জয়ের রেকর্ড।
পর্তুগালের লিসবনে রোববার রাতে ফাইনালের মঞ্চে প্রতিযোগিতায় লাগাতার ৩৪ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ানোর ইতিহাস সঙ্গী করে নেমেছিল পিএসজি। আর বায়ার্ন এবছর কোনো ম্যাচে না হারার আত্মবিশ্বাস সঙ্গী করেছিল।
প্রথমার্ধে সুযোগ তৈরি করেছে দুদলই। কিন্তু জালে বল জড়াতে পারেনি বায়ার্ন বা পিএসজির কেউই। এমবাপ-নেইমার জুটি বায়ার্ন গোলরক্ষক নয়ারের দেয়ালে প্রতিহত হয়েছেন। উড়তে থাকা রবার্ট লেভানডোভস্কির শট পোস্ট দুর্ভাগ্যে বাধা পড়েছে।
সেমিতে আলো ছড়ানো ডি মারিয়া সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা, ১৫ গোল করা লেভানডোভস্কি পিএসজির গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের গ্লাভসে বল তুলে দিয়েছেন সুযোগ পেয়েও। গোলশূন্যই কাটে প্রথমার্ধ।
মধ্যবিরতির পর ফিরে ম্যাচের ৫৯ মিনিটে লিড নেয় বায়ার্ন। জসুয়া কিমিচের বাড়ানো বলে জাল খুঁজে নেন কোম্যান। জার্মান ক্লাবটির যেটি ৫০০তম গোল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মঞ্চে। যে ইতিহাসের ছোট্ট ক্লাবে নাম আছে কেবল রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনার। ওই এক গোলেই শিরোপার হাসিতে মাঠ ছাড়ে হান্স ফ্লিকের শিষ্যরা।