জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কো) এর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলা নববর্ষের অন্যতম অনুষজ্ঞ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। ইউনেস্কোর নির্বাচিত Intangible Cultural Heritage of Humanity হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এই শোভাযাত্রা।
বুধবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো: শহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় বিশ্বের ঐতিহ্য রক্ষায় আন্তঃদেশীয় কমিটির একাদশ বৈঠকে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে ইউনেস্কো। মঙ্গল শোভাযাত্রা ‘রিপ্রেজেন্টেটিভ লিস্ট অফ ইনট্যানজিয়েবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’র অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
ফেসবুক স্ট্যাটাসে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লিখেছেন, আমরা বেশ কিছুদিন যাবত এটা নিয়ে কাজ করছিলাম এবং আজ সকালে (ইউনেস্কোতে) দুই ঘণ্টাব্যপী বিতর্কের পর এটা নিশ্চিত করা গেছে।
মঙ্গল শোভাযাত্রার শুরুটা ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে। শুরুতে অবশ্য এর নাম ছিলো বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। পরবর্তীতে, ১৯৯৬ সাল থেকে চারুকলার এই আনন্দ শোভাযাত্রা মঙ্গল শোভাযাত্রা হিসেবে নাম লাভ করে।
ইতোপূর্বে ইউনেস্কোর ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’-এর তালিকায় বাংলাদেশের কারুশিল্প জামদানি এবং বাউল গানও স্থান পায়।
এছাড়া, ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় বাগেরহাটের ‘ঐতিহাসিক মসজিদের শহর’, পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ এবং বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের নাম রয়েছে।