ইউক্রেনে সোমবার পার্লামেন্ট ভবনের সামনে পশ্চিমাপন্থীদের বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া পটকা ও পেট্রোলবোমায় ন্যাশনাল গার্ডের এক সদস্য নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশংকাজনক।
ইউক্রেনে চলমান পার্লামেন্টের অধিবেশনে দেশটির পূর্বাঞ্চল দোনেস্ক ও লুহানস্ককে বিশেষ মর্যাদা দিতে সংবিধান পরিবর্তনে পার্লামেন্টের ২৬৫ জন সদস্যের উপস্থিতিতে পড়া হচ্ছিল বিকেন্দ্রীকরণ বিল। সেই সময় প্রচন্ড শব্দে কেঁপে ওঠে পার্লামেন্ট ভবন। মূলত স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলনরত রুশপন্থীদের ওই অঞ্চলগুলোকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হবে, এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ নেমেছে দেশটির পশ্চিমাপন্থী নাগরিকরা।
রাজধানী কিয়েভে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ, সাংবাদিক ও বিক্ষোভকারীদের বেশ কয়েকজন আহত হয়। এমন পরিস্থিতির জন্য ইউক্রেনের ন্যাশনাল পার্টির নেতা ওলেহ তায়ানিবকে দায়ী করেছেন ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর্সেন এ্যাভাকভ। সহিংসতার ঘটনায় ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আর্সেনি ইয়াতসেনিউক।
সোমবার টেলিভিশনে দেয়া ভাষনে দেশটির প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো পার্লামেন্টের বাইরে সহিংসতার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে। পার্লামেন্টে খসড়া বিল পাস না হলে ইউক্রেন তার পশ্চিমা মিত্রদের সমর্থন হারাবেও বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওদিকে দোনেস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে বিদ্রোহীরা প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করলেও ওইসব অঞ্চলকে কোনো ‘বিশেষ মর্যাদা’ দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার ভলোদিমির রয়েসমেন। সংবিধান সংস্কারের জন্য পার্লামেন্টের ৪৫০ জন সদস্যের মধ্যে ৩শ জন সদস্যর ভোটের প্রয়োজন। ২০১৪ সালের মার্চে রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলের পর থেকে চলমান সংঘাতে প্রায় সাত হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।