ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আরও একটি বড় জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। শান্ত, সাব্বির ও মিরাজের ব্যাটিং পারফরম্যান্সের পর বল হাতে তাণ্ডব দেখিয়ে দলকে বড় জয় এনে দেন সানজামুল-নাজমুলরা। খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির বিপক্ষে আবাহনীর ১৩২ রানের জয়ের দিনে জিতেছে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জও। মুমিনুল হকের ব্যাটিং চমকে বিকেএসপিকে ৫ উইকেটে হারায় লিজেন্ডরা।
সাভারে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে আবাহনী। জহুরুল ইসলামের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে রান পাননি সৌম্য সরকার। দুজনের ৩৫ রানের জুটিতে সৌম্যর অবদান ১২ রান। বেশি করতে পারেননি জহুরুলও।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯৩ রান তুলে দলকে পথ দেখান নাজমুল হাসান শান্ত ও সাব্বির রহমান। ৭৯ বলে নয় চারে দলীয় সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন শান্ত। কিন্তু এক রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে সাব্বিরকে। ৪৯ বলে সাত চারে ৪৯ রানে আউট হন এ মারকুটে ব্যাটসম্যান।
ভালো রান পাননি অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (১১), মুনিম শাহারিয়ার (১৬) ও মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা (৪)। তবে ব্যাট হেসেছে নববিবাহিত মেহেদী হাসান মিরাজের। তিন রানের জন্য অবশ্য হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি। ৫৪ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় করেন ৪৭ রান। মূলত তার ইনিংসে ভর করেই আড়াইশ ছাড়ানো স্কোর পায় দল। আট বল আগে অলআউট হওয়ার সময় আবাহনীর স্কোর দাঁড়ায় ২৬২ রান।
খেলাঘরের হয়ে একাই পাঁচ উইকেট নেন রবিউল হক রবি। ইরফান হোসেন নেন তিন উইকেট।
আবাহনী ইনিংসের জবাব দিতে নেমে কুলকিনারা পায়নি খেলাঘর। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার মধ্যে মাত্র চারজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন মোসাদ্দেক ইফতেখার। শাহারিয়ার কমলের ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান। অধিনায়ক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন করেন ২২ রান। বাকিদের স্কোর উল্লেখ করার মতো নয়। ৩২.৫ ওভারে মাত্র ১৩০ রানে অলআউট হয়ে ১৩২ রানে ম্যাচ হারে খেলাঘর।
চার উইকেট নিয়ে আরিফুলের পাঁচ উইকেটের জবাব দিয়েছেন সানজামুল ইসলাম। ব্যাটের পর বল হাতেও সাফল্য পেয়েছেন নতুন জীবন শুরু করা মিরাজ। পাঁচ ওভারে মাত্র ১৮ রানে তিনি নেন দুই উইকেট। দুটি উইকেট নেন নাজমুল ইসলাম। তবে আগের ম্যাচে ছয় উইকেট নেয়া মাশরাফী এদিন চার ওভার বল করে থাকেন উইকেটশূন্য।
ফতুল্লার অপর ম্যাচে প্রথম ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৮১ রান করে বিকেএসপি। দলের হয়ে হাফসেঞ্চুরি করেন শামীম হোসেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান প্রান্তিক নওরোজ নাবিলের। এছাড়া ফাহাদ আহমেদের ২০ রান বাদে আর কেউ কুড়ির ঘরে যেতে পারেননি।
রূপগঞ্জের হয়ে পাঁচ উইকেট নেন ভারতীয় পেসার ঋষি ধাওয়ান। মুক্তার আলির দখলে যায় দুই উইকেট।
দুইশ নিচে পাওয়া টার্গেট ছুঁতে তেমন একটা বেগ পেতে হয়নি রূপগঞ্জের। আসলে কাজটা সহজ করে দিয়েছেন মুমিনুল হক। যদিও দিনশেষে আক্ষেপও থাকবে তার। কারণ সাত রানের জন্য তিন অঙ্ক ছোঁয়া হয়নি। ১১২ বলে আট চার ও দুই ছক্কায় ৯৩ রান করেন মুমিনুল।
ঠিক পাঁচ ওভার হাতে রেখে পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় রূপগঞ্জ। ছোট ছোট ইনিংসে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন মেহেদী মারুফ (২৭) ও অধিনায়ক নাঈম ইসলাম (৩১)।
বিকেএসপির হয়ে দুটি করে উইকেট নেন সুমন খান ও আবদুল কাইয়ুম।