শহরের অলিগলি ও গ্রামগঞ্জে গড়ে ওঠা প্রায় ৬০ হাজার অবৈধ কিন্ডারগার্টেন ও ইংলিশ মিডিয়াম
স্কুলকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে পরিপত্র জারি করেছে প্রাথমিক
ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে গঠিত
টাস্কফোর্সকে আগামী ১ মাসের মধ্যে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নিয়ে
প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এরই মধ্যে সারাদেশে ৫৫৯টি টাস্কাফোর্স গঠন করা হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে চলছে এই টাস্কফোর্স। পুরো কার্যক্রম মনিটরিং করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এরই মধ্যে ঢাকার বাইরের বেশ কয়েকটি শহরে লাগামহীনভাবে চলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সারা দেশেই এ কার্যক্রম চলবে। এগুলো বন্ধসহ সার্বিক করণীয় বিষয়ে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব হুমায়ুন খালিদ জানিয়েছেন, তারা সংক্ষিপ্ত আকারে মন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রতিবেদন পাঠালে প্রধানমন্ত্রী তাতে অনুমোদন দেন।
মঙ্গলবার জারি করা ওই পরিপত্রে টাস্কফোর্সের চারটি পর্যায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন সচিব। এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য অবিলম্বে কাজ করার জন্য তাদের জানানো হয়েছে।
স্কুলগুলো বিধিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা পুঙ্খানুপুঙ্খ দেখে টাস্কফোর্স সুপারিশ করবে। সে অনুযায়ী সরকার আইন ও বিধিমালা অনুমোদনসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নেবে বলে জানান হুমায়ুন খালিদ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে এ বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় বলছে, আইনের মধ্যে নিয়ে আসার জন্যই এই কার্যক্রম।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, রেজিস্ট্রেশন না করেই যে কোনো জায়গায় যে কোনো উদ্দেশ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে প্রিপারেটরি স্কুল, কিন্ডারগার্টেন এবং নার্সারি খুলে বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অভিভাবকদের ভেতর যে দুশ্চিন্তা, কোমলমতি শিশুদের ওপর যে চাপ, বিধিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হলে সেগুলো থাকবে না বলে মনে করেন তিনি।
যেসব শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এরই মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে বারবার তাগাদা দেয়ার পরেও সংশোধন হয়নি, নির্দিষ্ট বইয়ের বাইরে বই পড়ানো, অযোগ্য শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত বেতন, আয়ের বৈধ উৎস না থাকা, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিজস্ব মতবাদ প্রচার করাসহ সরকারি বিধিবিধান যেসব প্রতিষ্ঠান মানছে না ওইসব প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে বন্ধ করে দেয়ার সুপারিশ করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।