প্রচন্ড দাবদাহ ও দীর্ঘ অনাবৃষ্টিতে বিপর্যয় নেমে এসেছে মাছ চাষে। পানির অভাবে রেণু পোনা ব্যবস্থাপনাও কঠিন হয়ে পড়েছে যশোরের চাচড়া হ্যাচারিপল্লীতে। বন্ধ রয়েছে বেচাকেনা। এতে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন হ্যাচারি মালিকরা।
দেশের মোট চাহিদার ৬০ শতাংশ রেণু পোনা যশোর থেকে সরবরাহ করা হয়। চাঁচড়া মৎস্যপল্লীর ৮২টি হ্যাচারিতে গত বছর প্রায় দু’লাখ ৬০ হাজার কেজি রেণু উৎপন্ন হয়। চৈত্র থেকে মধ্য আষাঢ় রেণুপোনা উৎপাদনের ভরা মৌসুম। এ বছর দীর্ঘ অনাবৃষ্টির কারণে পানি স্বল্পতায় শূকিয়ে গেছে অধিকাংশ পুকুর ও জলাশয়। মারাত্মক বিপর্যয় নেমে এসেছে মৎস্য চাষে। রেণু পোনা ও চারা মাছ উৎপাদন নেমে এসেছে অর্ধেকে।
মাছ চাষিরা বলেন, গত বছর বৃষ্টি হওয়াতে ব্যবসা ভালো ছিল। কিন্তু এবার বৃষ্টি নাই, ছোট-বড় মাছ মরে যাচ্ছে। যার কারণে ব্যবসা মোটেও ভাল নেই।
হ্যাচারি মালিকরা জানান, এ ধরনের বৈরি আবহাওয়া আরও কয়েকদিন থাকলে মাছ উৎপাদনে বড় ধরণের বিপর্যয় নেমে আসবে।
যশোর জেলা হ্যাচারি মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ খান বলেন, বিদ্যুৎ বিল কৃষি রেট থেকে শিল্প রেট করায় আরো বেশি সমস্যা হচ্ছে। এই বিল কৃষি রেটে থাকলে ক্ষতিটা পুষিয়ে নেওয়া কিছুটা সম্ভব হতো।
বৈরি জলবায়ু পরিস্থিতি মোকাবিলার মতো কোনো কৌশল ও প্রযুক্তিও হাতে নেই চাষী ও হ্যাচারি মালিকদের।