আজ রোববার, বড় দু’টি ঘটনার সাক্ষী হলো দেশ ও দেশের মানুষ। আরেকটু বড় পরিসরে বললে, ঘটনা দুটি দেখেছে বিশ্ববাসীও। সেই দুটি ঘটনার একটি হলো কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন; আরেকটি পরীক্ষামূলক মেট্রোরেল চলাচল উদ্বোধন।
আমরা এরই মধ্যে জেনেছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন করেছেন আজকে। এ রানওয়েটি হবে ১০ হাজার ৭০০ ফুটের। যার নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি। ২০২৪ সালে কাজ শেষ হলে এ বিমানবন্দরটি হবে সাগর উপকূলে অবস্থিত বিশ্বের অন্যান্য দৃষ্টিনন্দন বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে অন্যতম।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, বোয়িং-৭৭৭ ও ৭৭৪ এর মতো বড় আকারের বিমানগুলো খুব সহজেই এ বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারবে। তাতে কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার পথও প্রশস্ত হবে। বিশেষ করে চীন, মিয়ানমার, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ দ্রুততর হবে। পর্যটন নগরী হিসেবে খ্যাত কক্সবাজারের উন্নয়নেও নতুন গতি আসবে।
আর এসব কারণেই নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথেও যোগাযোগটা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ হলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ হবে।’
আবার আজকের দিনেই বাংলাদেশের স্বপ্নের মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবে রূপ পাওয়ার পথে আরেক ধাপে পা রেখেছে। উত্তরায় অবস্থিত ডিপোতে সবুজ পতাকা উড়িয়ে এর পরীক্ষামূলক চলাচলের উদ্বোধন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ দিন উত্তরা থেকে পল্লবী পর্যন্ত চারটি স্টেশনের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করেছে মেট্রো। যাত্রীবিহীন এই চলাচলকে বলা হচ্ছে ‘পারফরম্যানস টেস্ট’।
ঐতিহাসিক এই ঘটনার পর রাজধানীবাসীর মেট্রোরেলে চড়া এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা খরচের এই প্রকল্পও শেষ হওয়ার পথে। ধারণা করা হচ্ছে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যেই যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে মেট্রোরেল।
আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি, আজকের এ দু’টি ঘটনা বাংলাদেশের অগ্রগতির ক্ষেত্রে অন্যতম মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে। যা দেশকে একদিন পৌঁছে দেবে উন্নত দেশের সারিতে।