তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলার তদন্ত চলা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের আবেদন শুনবেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ শহিদুল আলমের আইনজীবীকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলে বিষয়টি চার সপ্তাহের জন্য স্ট্যান্ডওভার করেছেন।
এসময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী শহিদুল আলমের আইনজীবীকে বলেছেন, ‘হাইকোর্টের রায়টা প্রকাশ হলে তারপর আপনারা (সে রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল) সিপি ফাইল করেন। তখন আমরা এ বিষয়ে শুনবো। আপাতত চার সপ্তাহের জন্য স্ট্যান্ডওভার রাখছি।’
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে করা মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে গত ১৩ ডিসেম্বর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন। ওই রায়ের ফলে শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলতে বাধা নেই বলে জানায় হাইকোর্টে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে গত বছরের ৬ আগস্ট রমনা থানায় একটি মামলা হয়। সে মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগের পর শহিদুল আলম জামিনে মুক্তি পান। তবে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে থাকা মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শহিদুল আলম ২০১৯ সালের ৩ মার্চ হাইকোর্টে রিট করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলার তদন্ত কার্যক্রমের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেন। পরবর্তীতে সে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে শহিদুল আলমের মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন হাইকোর্ট। সে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে শহিদুল আলম।