ভারতের উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর সীমান্তবর্তী গেওদি গ্রামে হঠাৎ করে দেখা মেলে সুন্দরবনের ঐতিহ্যবাহী রয়েল বেঙ্গল টাইগার।

শুক্রবার বিকেলে গ্রামটির ফসলি মাঠে বাঘটিকে দেখে গ্রামবাসী। বাঘটিকে দেখার পর থেকে এলাকার জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
বাঘটিকে দেখার পর এলাকাবাসী স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেয়। ওই খবর শোনার পর দেশটির বন বিভাগ স্থানীয়দের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গ্রামে একটি ক্যাম্প স্থাপন করেছে।
বুন্দেলখন্ড এর বন সংরক্ষণের প্রধান পিনাকী সিং জানান, এটা রয়েল বেঙ্গল টাইগার। টাইগারের জন্য নিরাপদ বনাঞ্চল পান্না থেকে নদীর কিনার ধরে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরের লোকালয়ে চলে এসেছে। ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুসারে রয়েল বেঙ্গল টাইগার আমাদের জাতীয় পশু। বাঘটিকে উদ্ধারের জন্য আমাদের একটি দল ক্যাম্প করে কাজ করছে। বাঘটিকে নিরাপদে যাতে আশ্রয়স্থলে ফিরিয়ে নেয়া যায় সে বিষয়েও কাজ করছে। আমরা ইতিমধ্যে কানপুর থেকে একটি খাঁচাও নিয়ে এসেছি। তবে ওই এলাকায় এই প্রথমবারের মতো রয়েল বেঙ্গলকে দেখা গেল বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
তিনি জানান, বাঘটির পায়ের ছাপ ও গৃহীত ছবি দেখে প্রাথমিকভাবে বাঘটিকে শাবক বলে ধারণা করা হয়েছে। হয়তো কোনোভাবে শাবকটি মায়ের কাছ থেকে দলছুট হয়েছে। তবে বাঘটি এখনো লোকালয় থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। বাঘের পায়ের ছাপ দেখে প্রায় সাতটি গ্রামের মানুষকে বাঘ ও বাঘের আচরণ বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে। বাঘটিকে নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে আমাদের সর্বচ্চো দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বলে জানান ওই কর্মকর্তা।