ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অনেকেই অস্ট্রেলিয়ার দলের হয়ে ডেভিড ওয়ার্নার এবং স্টিভেন স্মিথকে চেয়েছিলেন। সেটা সম্ভব হয়নি। সিরিজে পিছিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া যখন মেলবোর্নে চতুর্থ টেস্টে ফলোঅনে পড়ে ভুগছে, তখন এ দুজন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) একে অপরের বিপক্ষে লড়াইয়ে ব্যস্ত। যে লড়াইতে স্মিথের কুমিল্লাকে ১২৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ওয়ার্নারের সিলেট।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ দুই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারের দিকে শুরু থেকেই নজর বিপিএল দর্শকদের। রোববার টস করতে এলেন স্মিথ-ওয়ার্নার। দুই তারকা আছেন আগের মতোই, সেটা বোঝা গেল ম্যাচ শুরু হতেই। ওপেনিংয়ে নামলেন ওয়ার্নার। প্রথম বাউন্ডারিটা মেরে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেন। ম্যাচের প্রথম উইকেটটাও আবার আসে স্মিথের হাত হয়ে।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ে ওয়ার্নারের সিলেট সিক্সার্সকে ব্যাট করতে পাঠান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের অধিনায়ক স্মিথ। আসরে দুই দলেরই এটি প্রথম ম্যাচ। তাই যে দল জিতবে, আসরে তাদের শুরুটাও হবে ভালো। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা বাজে হয় সিলেটের।
দলীয় আর ব্যক্তিগত এক রানেই ফেরেন লিটন দাস। মেহেদী হাসান হৃদয়ের বলে স্মিথের হাতে ক্যাচ দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের এ ব্যাটসম্যান। তিন বাউন্ডারিতে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি ওয়ার্নার। ১৩ বলে ১৪ রান করে রানআউট হন অজি ওপেনার।
১৯ রান করা আফিফ হোসেন সাইফউদ্দিনের শিকার হওয়ার পর তৌহিদ হৃদয় শহিদ আফ্রিদির এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়লে ৫০ রানের আগেই চার উইকেট খুইয়ে ফেলে সিলেট। দলের বিপদ আরও বাড়ে ৭ রানে সাব্বির ফিরে গেলে।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সিলেটের ইনিংস টেনেছেন নিকোলাস পুরান ও অলক কাপালি। ৫৫ রানের জুটি গড়ে ফেরেন পুরান। ২৬ বলে পাঁচটি চার ও দুই ছক্কায় ৪১ রান করেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। বেশকিছু সময় ক্রিজে থাকলেও ১৯ রানে বেশি করতে পারেননি কাপালি। সিলেটও ১২৭ রানের বেশি এগোতে পারেনি।
কুমিল্লার হয়ে মেহেদী হাসান হৃদয়, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মোহাম্মদ শহিদ দুটি করে উইকেট নেন। একটি উইকেট পান শহিদ আফ্রিদি।