চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সৌদিতে এবার গাড়ি চালানোর অনুমতি পাচ্ছেন নারীরা

বহু বছর ধরে চলা প্রচারণা আর প্রচেষ্টার পর অবশেষে সৌদি আরবের ইতিহাসে এই প্রথম গাড়ি চালানোর অনুমতি পেতে যাচ্ছেন নারীরা। বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রি জারি করে নারীদের প্রথমবারের মতো দেশটিতে গাড়ি চালানোর অনুমতি দিলেন।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) এ খবর জানায়।

এসপিএ সূত্রে বিবিসি জানায়, সৌদি আরবের শীর্ষ ধর্মীয় নেতাদের কাউন্সিলও বাদশাহ সালমানের এ পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। এর ফলে রাজকীয় এই ডিক্রি মোতাবেক নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই সরকারের পক্ষ থেকে গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করা হবে।

‘এজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করে জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে বাদশাহর জারি করা নির্দেশটি কার্যকর হবে ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে।’

বিস্তারিত প্রকাশ না করা হলেও ডিক্রিতে বলা হয়, প্রয়োজনীয় শরিয়াহ মানদণ্ড অনুসরণ করেই এই নির্দেশনা কার্যকর করা হচ্ছে।

সৌদি আরবই বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই। তাই এ বিষয়টি নিয়ে দেশের ভেতরেই দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছিল। তার ওপর ‘নারীদের গাড়ি চালানোর মতো বুদ্ধি নেই’- গত সপ্তাহে সাদ-আল-হিজিরি নামের সৌদির দক্ষিণ প্রদেশের আসিরের এক ধর্মীয় নেতার করা এমন মন্তব্য অসন্তোষ আরও উসকে দেয়

ওই ধর্মীয় নেতার এমন মন্তব্যের পর সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এমন অবিবেচকের মতো মন্তব্য করায় হিজিরিকে সকল ধর্মীয় কাজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। হিজিরির মন্তব্যের বিরোধিতা করে নারী অধিকার কর্মীরা তাকে বহিষ্কারের দাবি জানান। সমাজের বিভিন্ন মহল থেকেও একই দাবি ওঠে। তবে রক্ষণশীলরা হিজিরির মন্তব্যকে সমর্থন জানান।

সৌদি আরবের চরম রক্ষণশীল সমাজে মেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়ার দাবিতে মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই জোর চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এছাড়া বিনা অনুমতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগে অনেক নারীকে কারাগারেও যেতে হয়েছে সৌদিতে।

সৌদি সরকারের নতুন এই উদ্যোগকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানিয়েছে। একে ‘খুবই ইতিবাচক লক্ষণ’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হেদার নোয়ার্ট।

এর আগে গত সপ্তাহেই প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের কোনো স্টেডিয়ামে প্রবেশাধিকার পান নারীরা। রিয়াদের কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে জাতীয় দিবসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নারীরাও অংশগ্রহণ করেন। জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথরিটি (জিইএ) বিনামূল্যে এটির আয়োজন করে।