
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ মনিটরিং সার্ভের প্রথম ধাপের মাঠ পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ বনবিভাগ ও ওয়াইল্ড টিম যৌথভাবে এ সার্ভে পরিচালনা করছে। বন কর্মকর্তারা বলছেন, এর মাধ্যমে সুন্দরবনে বাঘের হ্রাস-বৃদ্ধি ও জীবনাচরণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।
গত চার দশকে সুন্দরবনে বাঘ গণনা পরবর্তী মনিটরিংয়ের কার্যক্রম এই প্রথম। ২০১০ সালের বাঘ সম্মেলনের ঘোষণার সুপারিশ অনুযায়ী গত ডিসেম্বর থেকে ইউএসএইড-এর বাঘ অ্যাকটিভি প্রকল্পের অর্থায়নে এই সার্ভে শুরু করে বনবিভাগ। সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের ২৭৭টি গ্রীড পয়েন্ট চিহ্নিত করে প্রতি পয়েন্টে দুটি করে অত্যাধুনিক ক্যামেরা বসানো হয়। বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে টানা ৪৫ দিন বাঘের ছবি ধারণ করা হয়।
বন কর্মকর্তারা বলছেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এই ক্যামেরা ট্রাপিং পদ্ধতিতে বাঘের বাড়া-কমার সঠিক সংখ্যা নিরুপণ করা যাবে।
ছবিগুলো পর্যালোচনা করে ৩০ শে জুনের মধ্যে সার্ভের চূড়ান্তভাবে ফল প্রকাশ করার কথা রয়েছে। বনবিভাগের তথ্যানুযায়ী, ১৯৮২ সালে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৫৩টি, ২০০৪ সালে ৪৪০ এবং সবশেষ শুমারিতে পাওয়া যায় ১০৬টি।

বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: