চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

সিনেমার দর্শক মধ্যবিত্তরা, করোনায় তারা ভালো নেই: সাইমন

‘আগামী একবছর সিনেমা হলের ভবিষ্যৎ খুব একটা ভালো মনে হচ্ছে না। তবে মাল্টিপ্লেক্স (আধুনিক সিনেমা হল) কেন্দ্রিক হলগুলোর ভবিষ্যৎ ভালো। বিনোদনের তৃষ্ণা মেটাতে সিনেমা হলে যেতে হবে এমন মানসিকতার মধ্যে কেউ আসেনি। সিনেমার নিয়মিত দর্শক মধ্যবিত্তরা, করোনায় তারা ভালো নেই। বেশিরভাগই মানুষ কর্মহীন হয়ে বিপৎসীমায় আছেন। এতে মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত (গরীব) হয়ে যাচ্ছেন। হাতে টাকা না থাকলে মানুষ কিভাবে বিনোদন নিতে সিনেমা হলে যাবে?’

চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক কথাগুলো বলছিলেন। যিনি গুণী নির্মাতা জাকির হোসেন রাজুর ‘জ্বি হুজুর’ সিনেমার মাধ্যমে ২০১২ সালে চলচ্চিত্রে অভিষিক্ত হন। পরের বছর ‘পোড়ামন’ তার ক্যারিয়ার ঘুরিয়ে দেয়। ব্যবসায়িকভাবে ব্যাপক সাফল্য পায় জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত এ সিনেমাটি। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সাইমনকে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের পরিচালনায় ‘জান্নাত’ সিনেমার জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

Bkash

এখন পর্যন্ত একে একে ২২টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে সাইমনের। তিনি জানালেন, মুক্তির জন্য প্রস্তুত ‘লাইভ’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘বাহাদুরি’, ‘নদীর বুকে চাঁদ’ সিনেমাগুলো। এছাড়া শুটিং চলমান ‘গ্যাংস্টার’সহ একাধিক সিনেমার। করোনার কারণে সিনেমাগুলোর মুক্তি ও শুটিং থেমে আছে বলে জানালেন সাইমন। তার কথা, পরিস্থিতি ভালোর দিকে গেলে শুটিংয়ে নামবেন।

Reneta June

শুক্রবার বিকেলে চ্যানেল আই অনলাইনের আলাপে সাইমন সাদিক বলেন, দেশের ৭০ শতাংশ মানুষের হাতে টাকা না থাকায় তারা ভালো নেই। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বলা যায়, আগামী একবছর মানুষের হলমুখী করার পরিবেশ তৈরি হবে না। তবে আমি মনে করি, বাংলাদেশের মানুষ ভীষণ সংগ্রামী। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা সংগ্রাম করে আবার আগের অবস্থায় ফিরবেন। অন্যদিকে, সরকার যেহেতু ভ্যাকসিন প্রদানে তৎপর হয়েছেন আমার বিশ্বাস দ্রুত আমাদের অবস্থার পরিবর্তন হবে।

করোনাকালীন সিনেমা বন্ধ থাকলেও দেশে অনলাইন মাধ্যমে সিনেমা দেখা থেমে নেই। ভিনদেশী প্ল্যাটফর্ম দিয়ে বরং শিক্ষিত, রুচিশীল দর্শকদের এ মাধ্যমে সিনেমা, ওয়েব সিরিজ দেখার জোয়ার বইছে। দেশীয় ওটিটি মাধ্যমগুলোও ধীরে ধীরে সরব হচ্ছে। বানাচ্ছে হরেক রকমের ভিন্ন ভিন্ন গল্প নির্ভর কনটেন্ট। ইতোমধ্যে দেশীয় গল্প, নির্মাতা ও শিল্পীদের কয়েকটি কনটেন্ট আলোচিত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে সাইমন বলেন, ওটিটি আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক। কিন্তু সিনেমা বড় ক্যানভাসের জায়গা ও সবচেয়ে বড় গণমাধ্যম। সিনেমা হলে গিয়ে হইহুল্লোড় করে একসঙ্গে বড় পর্দায় সিনেমা দেখার মজা আলাদা। তবে এটা সত্য যে হাতে হাতে স্মার্ট ফোন, ঘরে ঘরে স্মার্ট টিভি থাকায় ওটিটি নির্ভরতা বাড়ছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে এ মাধ্যমেরও প্রয়োজন আছে।

লকডাউন উঠে গেলেই শামীম আহমেদ রনীর পরিচালনায় ‘নরসুন্দর’ সিনেমার শুটিং করবেন সাইমন। তিনি বলেন, করোনা পরবর্তী ভালো কনটেন্ট ছাড়া দর্শক গ্রহণ করবে না। আমার মুক্তির অপেক্ষায় থাকা আনন্দ অশ্রু, গ্যাংস্টার, লাইভ সবগুলোই অসাধারণ কনটেন্ট। সিনেমা হল এবং ওটিটি দুই মাধ্যমেই এসব সিনেমা খুব ভালো ভাবে দর্শক গ্রহণ করতে পারে, কাজ করে বুঝেছি।

বিজ্ঞাপন

Nil Joler Kabbo
Bellow Post-Green View