গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেয়ার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার জন্য কার্যক্রম শুরু করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে দলটির সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির করা আবেদনের শুনানি নিয়ে
বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রুল জারি করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

আদেশের পর এই আইনজীবী জানান, ‘সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সময়ে ঘটা বিষয়টি নিয়ে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হলেও এখন নতুন সিইসি আসায় আদালত অবমাননার রুলটি কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদনের পর ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এক পত্রের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে না মর্মে তাদের অবহিত করে। পরবর্তীতে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে দলটির প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ সাকি হাইকোর্টে রিট করেন। এই রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রুল মঞ্জুর করেন রায় দেন।’
‘‘সেই রায় ও আদেশের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন প্রদানের আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে রায় ও আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি যথাসময়ে নির্বাচন কমিশনকে দাখিল করা হয় এবং আদালত থেকেও নিয়ম অনুযায়ী রায় ও আদেশের অনুলিপি প্রেরণ করা হয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এবিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
পরবর্তীতে গত বছরের ১০ অক্টোবর এবিষয়ে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়। সে নোটিশ পাওয়ার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাই পরবর্তীতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যাবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।’’
ওই আবেদনের শুনানি শেষে আজ আদালত অবমাননার রুল জারি করলেন হাইকোর্ট।