স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে সরকার আন্তরিক। আমরা প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর রাখছি। আশা রাখি দ্রুতই এর একটা সমাধানে পৌঁছতে পারবো। খুনিরা ধরা পরবে।
এই দীর্ঘ সময়েও হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় মন্ত্রী নিজেও বিব্রতবোধ করেন।
সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে সোমবার সকালে প্রতিবাদ সমাবেশ করে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
সমাবেশ শেষে নেতৃবৃন্দ একটি র্যালি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের হাতে স্মারকলিপি তুলে দিলে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় প্রতিনিধি দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, আর কালক্ষেপণ না করে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা রয়েছে তা নিয়ে যেন আর সময় চাওয়া না হয় এ বিষয়ে মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
সকাল ১১টায় ডিআরইউ চত্বরে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ’র সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান।
বক্তব্য রাখেন, ডিআরইউ’র অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল বারী, দপ্তর সম্পাদক মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ মাহমুদ এ রিয়াত, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ এমদাদুল হক খান, কার্যনির্বাহী সদস্য বি এম নূর আলম (বাদল নূর), মোহাম্মদ মাকসুদুল হাসান, রাশেদুল হক, ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, রাজু আহমেদ, মুরসালিন নোমানী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, বিএফইউজের একাংশের মহাসচিব এম. আব্দুল্লাহ, ডিইউজের একাংশের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মিজান মালিক, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ নিজাম।
আরো উপস্থিত ছিলেন, ডিআরইউ’র সহ-সভাপতি খোন্দকার কাওছার হোসেন, নারী বিষয়ক সম্পাদক সাজিদা ইসলাম পারুল, ক্রীড়া সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য খালিদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনিকে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় হত্যা করা হয়। পরের দিন রুনীর ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। চারদিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়।
পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু গত সাত বছরেও মামলার তদন্তে অগ্রগতির কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।