চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

শিশুদের স্কুল খুলে দিতে ইউনিসেফের সুপারিশ বিবেচনা করুন

করোনাভাইরাস এখনও বিশ্বব্যাপী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে নাকাল প্রায় পুরো বিশ্ব। দেশে দেশে বিধিনিষেধ ও লকডাউন চলছে। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও চলছে বিধিনিষেধ। এর ফলে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে। তবে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ ওমিক্রন ধরনের বিস্তারের কারণে শিশুদের পড়াশোনা যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য স্কুল খোলা রাখাসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, স্কুলগুলো পুরোপুরি বা আংশিক বন্ধ থাকার কারণে বর্তমানে প্রায় ৬১ কোটি ৬০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কোভিড-১৯ ঝুঁকি প্রশমনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে স্কুলগুলোকে খোলা রাখা যেতে পারে। প্রতিটি শিশুকে স্কুলে ফিরিয়ে আনতে আমাদের জরুরী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

Bkash July

ইউনিসেফ জানায়, প্রতিটি কমিউনিটির প্রান্তিক শিশুদের ওপর বিশেষ লক্ষ্য রেখে কিছু বিষয়ে বিস্তৃত সহায়তা প্রদান করা যেতে পারে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের ঘাটতি পূরণে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া, মানসিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সহায়তা, সুরক্ষা এবং অন্যান্য পরিষেবা প্রদান করা প্রয়োজন।

পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিপর্যয় এড়াতে এবং শিশুদের তাদের শেখার পথে ফিরিয়ে আনতে দেশগুলোর কাছে ইউনিসেফ বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে: ১. শিক্ষক এবং স্কুল কর্মীদের অবিলম্বে টিকা দিতে হবে। প্রথম সারির স্বাস্থ্যকর্মী এবং উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে কোভিড-১৯ এর টিকাদানের পরপরই এই টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে শিক্ষক এবং স্কুল কর্মীদের সম্পূর্ণরূপে সমর্থন ও অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। ২. অগ্রাধিকার প্রাপ্য জনগোষ্ঠীকে পুরোপুরি সুরক্ষিত করার পর এবং টিকার যথেষ্ট প্রাপ্তি নিশ্চিত হলে ইউনিসেফ শিশুদের টিকাদানকে সমর্থন করে। সশরীরে স্কুলে যাওয়ার জন্য টিকাদানকে পূর্বশর্ত করবেন না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইউনিসেফ শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের টিকাদান ছাড়াই স্কুলগুলো খোলা রাখার এবং কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ কৌশল যাতে পড়াশোনা ও সামাজিক জীবনের অন্যান্য দিকগুলোতে শিশুদের অংশগ্রহণকে সহজতর করে তা নিশ্চিত করার সুপারিশ করে।

Reneta June

এটা ঠিক যে, মহামারির দুই বছরে শিশুদের পড়ালেখায় অভাবনীয় ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি এখনই থামানো দরকার এবং এর জন্য শুধু স্কুল খুলে দেওয়াই যথেষ্ট নয়, তাদের এই ক্ষতিপূরণে নিবিড় সহায়তা প্রয়োজন। এছাড়া স্কুলগুলোকে নিজস্ব গণ্ডিতে আবদ্ধ না থেকে কাজ করতে হবে শিশুদের শারীরিক এবং মানসিক অগ্রগতি, সামাজিক উন্নতি এবং পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অবস্থা এক নয়। বাংলাদেশ যদিও শুরু থেকেই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যথেষ্ট সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে, তবুও স্কুল খোলার বিষয়ে আরও বিবেচনা করতে হবে।

স্কুল-কলেজ বন্ধের সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, পরিস্থিতির উন্নতি হলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। এছাড়া ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত করণীয় ঠিক করতে আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View