বিধ্বস্ত বিএস-২১১ এর গুরুতর আহত যাত্রী ডা. রেজওয়ানুল হক শাওনকে জানানো হয়নি যে তার স্ত্রী তাহিরা তানভিন শশী আর নেই। কারণ তার নিজের অবস্থা এখনো পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নয়। কাঠমান্ডুর ওম হসপিটাল এন্ড রিসার্চ সেন্টারের আইসিইউতে থাকা রেজওয়ানুলকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উড়োজাহাজটিতে আগুন লেগে যাওয়ায় মারাত্মক আহত এই বাংলাদেশি চিকিৎসককে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর নেয়ার কথা জানিয়েছেন রেজওয়ানুলের শ্বশুর ডা. রেজা মোহাম্মদ জামান। জামাতাকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও তার পাশে থাকা মেয়ে শশীকে চিরদিনের জন্য হারিয়েছেন ডা. রেজা।
জামাতা শাওনের শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন: নেপালের ওম হাসপাতালের আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন রেজওয়ানুল হক শাওনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেয়া হবে।
শশীর বাবা বলেন: আইসিইউতে থাকা অবস্থায় রেজওয়ানুল তার স্ত্রী কেমন আছে জানতে চেয়েছিলো। তবে তার শারীরিক-মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে শশী আর নেই এটা এখনো জানানো হয়নি।
১২ মার্চ সকালে ঢাকার মাটি থেকে উড়াল দেয়ার আগে বিএস-২১১ টিকেট হাতে সেলফি তুলেছিলেন তাহিরা তানভীন শশী। চিকিৎসক স্বামী রেজওয়ানুল হক শাওনের সঙ্গে নেপাল যাওয়ার আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন ফেসবুকে। কিন্তু কাঠমান্ডুর মাটি ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিরতরে আলাদা হয়ে গেলেন তারা। আছড়ে পড়া উড়োজাহাজের আগুনে মারাত্মক আহত ডা. রেজওয়ানকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কাঠমান্ডুর ওম হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে এবং শশীকে নেয়া হয় কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজে, সেখান থেকে তার মরদেহ কাঠমান্ডুর টিচিং হসপিটালে নেয়া হয়।