রাখাইনে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেও শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে মানবেতর জীবনযাপন করছে রোহিঙ্গারা। পর্যাপ্ত ত্রাণ না থাকায় এখানে নিয়মিত রান্না হয় না অনেক পরিবারে। তাই না খেয়েই শরণার্থী ক্যাম্পে ঘুমিয়ে পড়েন এমন সংখ্যাও কম নয়।
এমন অসংখ্য শরণার্থী ক্যাম্পের মধ্যে উখিয়ার জামতলী শরণার্থী ক্যাম্প অন্যতম। সারাদিন ত্রাণের আশায় থাকা ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত অনেক রোহিঙ্গার মাথা গোজার ঠাঁই হয়েছে এখানে।
এই ক্যাম্পে থাকা অনেক পরিবারে নিয়মিত রান্না হয় না। তাই না খেয়েই শরণার্থী ক্যাম্পে ঘুমিয়ে পড়েন এমন সংখ্যাও কম নয়। একবেলা ভাত, আর বাকিসময় শুকনা চিড়া খাচ্ছেন এমন রোহিঙ্গারাও আছে। অনেক শিশু মায়ের কাছে খাবার চেয়ে পাচ্ছে না। অসহায় মা অনেকসময় ক্ষুব্ধ হচ্ছে সন্তানের ওপর।
পাহাড় কেটে কেটে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার ঝুপড়ি ঘর তৈরি করেছে রোহিঙ্গারা। বাসস্থানের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। ৮ থেকে ১০ সন্তান রয়েছে এমন পরিবারের সংখ্যাই বেশি।
এমনই একজন রোহিঙ্গা শরণার্থীর নাম দবির। ২৬ বছর বয়সী এই দবিরের রয়েছে ৫ সন্তান। তবে নিজের এবং পরিবারের খাবার কিভাবে জুটবে তা জানেন না তিনি।
এছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রায় প্রতিটি শিবিরেই অসুস্থ হচ্ছে রোহিঙ্গারা। ডাক্তারের পরামর্শ আর ওষুধ পাচ্ছে না তারা। শিশুরা ঘুমিয়ে গেলেও বড়দের ক্ষেত্রে উল্টো। ঘিঞ্জি পরিবেশ আর গরমে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে অনেকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো ক্যাম্পে কয়েকটি টিউবওয়েল থাকলেও নেই কোন পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। ক্যাম্পেই অস্থায়ী কিছু দোকানও খোলা হয়েছে। আশ্রয় শিবিরেই বাঁশের চাটাই দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মসজিদ। রোহিঙ্গা মসুলমানরা নামায আদায় করেন সেখানে।
দোকানীরা বলছেন, শুটকী মাছই রোহিঙ্গারা বেশি কিনছেন। ক্যাম্পের পাশ দিয়ে কোন ত্রাণের গাড়ি গেলে তার পিছু নেয় রোহিঙ্গারা। সারাদিন সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে যারা ত্রাণ পান তাদের ঘরে চুলা জ্বলে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসাথে খাবার খায় রোহিঙ্গারা।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: