মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলোতে এখনও আগুন জ্বলছে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত সেখানকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে। এরকম তিনটি ভিডিওর কথা জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এছাড়া সম্প্রতি প্রকাশিত স্যাটেলাইট ছবিতেও আগুনের অস্তিত্ব মিলেছে বলে দাবি করেছে এই সংগঠন।
স্যাটেলাইট ছবি ও সংগৃহীত ভিডিও বিশ্লেষণ করে অ্যামনেস্টি বলছে, রাখাইনের বিভিন্ন রোহিঙ্গা গ্রামের বাড়ি-ঘর, দৃশ্যমান স্থাপনা সব পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।উত্তর রাখাইনের স্থানীয়রাও দাবি করেছে যে, সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগীদের মাধ্যমে ওই আগুনের সূত্রপাত হয়।
অ্যামনেস্টির ক্রাইসিস রেসপন্সের পরিচালক তিরানা হাসান এ বিষয়ে বলেন, রাখাইনে রাজ্যে সেনা অভিযান গত ৫ সেপ্টেম্বর শেষ হয়ে গেছে’ অং সান সু চির এমন বক্তব্য যে নিছক মিথ্যা কথা ছিল, তার অকাট্য প্রমাণ এই স্যাটেলাইট ছবি ও ভিডিও।
‘উত্তর রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর যে বর্বর নিপীড়ন হয়েছে তা প্রায় তিন সপ্তাহ পরে আমরা দেখতে পারি। এর আগে তা এভাবে ভাবা যায়নি। এখনও রোহিঙ্গাদের গ্রাম, ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। ভয়ে মানুষ জীবন নিয়ে পালিয়ে বাঁচতে সময় পাচ্ছে না।’
তারা যাতে ফিরে এসেও কোন থাকার জায়গা না পায় কিংবা আর কোন দিন ফিরে না আসে, সে উদ্দেশ্যেই তাদেরকে তাড়িয়ে দিয়ে বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে।
অ্যামনেস্টি বলছে, এমন জটিল পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা বন্ধ করার সময় এসেছে। এই গণহত্যা ও নিপীড়ন অবিলম্বে বন্ধ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সংকটের সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলোকে সংকোচহীনভাবে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।