১৯৮১ সালের ১১ মে স্বাধীনচেতা শিল্পী বব মার্লের মৃত্যু হয়। ক্যানসারের সাথে লড়াই করে হেরে গিয়ে মাত্র ৩৬ বছর বয়সেই প্রয়াত হন তিনি। তবে মৃত্যুর চল্লিশ বছর পরেও তার জনপ্রিয়তা কমেনি একটুও।
১৯৪৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জ্যামাইকান এ রেগে শিল্পী সেইন্ট এ্যানের নাইন মাইলের একটি বস্তিতে জন্মগ্রহণ করেন। অবহেলিত জ্যামাইকার অবহেলিত মানুষের অধিকার নিয়ে গান গাওয়ায় অনেকের প্রিয় মানুষে পরিণত হন মার্লে। গানে নানা ক্ষোভ ও সংকটের কথা বলে মন জয় করেন তরুণদের।
স্কুলে পড়ার সময় সহপাঠীদের নিয়েই বব তৈরি করেছিলেন ব্যান্ড। দলের নাম ছিল ‘বব মার্লে অ্যান্ড দ্য ওয়াইলার্স’। পরবর্তীতে যা সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। দলের সদস্য ছিলেন বব মার্লে, পিটার টশ ও বানি ওয়েইলারসহ আরও কয়েকজন।
১৯৭৪ সালে ‘বব মার্লে অ্যান্ড দ্য ওয়াইলার্স’ ব্যান্ডের ‘বার্নিন’ প্রকাশের পর মার্লে তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘নাটি ড্রেড’ প্রকাশ করেন। ১৯৭৬ সালে তাকে গুলি করে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। গুলি এসে বব মার্লের বুকে ও হাতে লাগে। তিনি বেঁচে গেলেও মাথায় গুলি লেগে মৃত্যু হয় তার স্ত্রী রিটার।
এরপর বব মার্লে চলে যান লন্ডনে। কাজে ফিরে ১৯৭৭ সালে ‘এক্সোডাস’ প্রকাশ করেন। কিন্তু সেবছরই একটি খারাপ খবর শুনতে হয় তার।
জুলাই মাসে বব মার্লের পায়ের আঙ্গুলের নখের নিচে কালো দাগ খুঁজে পান চিকিৎসক। ক্যানসারের এই লক্ষণ দেখে চিকিৎসক তাকে আঙ্গুলটি কেটে ফেলার পরামর্শ দেন। কিন্তু ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে রাজি হননি মার্লে।
১৯৮০ সালে বব মার্লের শরীর খারাপ হয়ে পড়ে। ক্যানসার পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়েছিল। বেশ কয়েক বছর ক্যানসারের চিকিৎসা করিয়ে কোনো উন্নতি না দেখে মার্লে সিদ্ধান্ত নেন জ্যামাইকা ফিরে যাওয়ার। কিন্তু আরও অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে সেডার্স অব লেবানন হাসপাতালে (বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব মিয়ামি হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় মস্তিষ্ক ও ফুসফুসে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ে মৃত্যু হয় এই কিংবদন্তীর।