বিজ্ঞাপন
মিয়ানমারে নারী ও শিশুসহ ৩০ জনকে হত্যার পর মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে। স্থানীয় গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থার বরাতে বিবিসি জানায়: শুক্রবার সংঘর্ষ প্রবণ এলাকা কায়াহ প্রদেশে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় সেভ দ্য চিলড্রেন এর দু’জন কর্মকতা নিখোঁজ বলে দাবি করে সংস্থাটি। তারা মানবিক কাজ করার পর বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানানো হয়।
‘নির্দোষ মানুষের উপর চলমান এ ধরনের বর্বর কর্মকাণ্ডে সেভ দ্য চিলড্রেন ভীত’ বলে জানান সংস্থাটির প্রধান কর্মকর্তা ইনজার অ্যাশিং।
সেভ দ্য চিলড্রেন এর পক্ষ থেকে কমপক্ষে ৩৮ জনের নিহত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। সংস্থাটি জানায়, এছাড়াও কিছু মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
কারেন্নি মানবাধিকার গ্রুপের সূত্রে বিবিসি জানায়, তারা রবিবার হোপ্রুসো শহরের নিকটবর্তী মো সো গ্রামে নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন আকৃতির লাশ খুঁজে পান। তারা দাবি করেন, এ হত্যার পেছনে মিয়ানমারের সামরিক সরকার জড়িত।
ফেসবুক পোস্টে তারা এই অমানবিক ঘটনার কঠোর নিন্দা জানিয়ে বলেন, এর মাধ্যমে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গ্রামটিতে মুখোমুখি অবস্থান নেয়া অনির্দিষ্ট সংখ্যক ‘অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী’কে হত্যা করেছে তারা। দলটি সাতটি যানবাহনে ছিল এবং তাদের থামার নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা থামেনি বলে জানানো হয়েছে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশটির ক্ষমতার দখল নেয় সামরিক বাহিনী। জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বেসামরিক মিলিশিয়া বাহিনী গড়ে ওঠে দেশব্যাপী। কারেন্নি ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স তার মধ্যে একটি। তারা জানিয়েছে এ ঘটনায় তাদের কোন সদস্য নিহত হয়নি। নিহতরা সংঘাত থেকে বাঁচতে আশ্রয় নেওয়া বেসামরিক লোক।
নিরাপত্তাজনিত কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গ্রামবাসী বলেন, তিনি ঘটনার পর ভয়ে সেখানে যাননি। কারণ তখনও দূর থেকে গুলির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল।
রয়টার্সকে তিনি ফোনে জানান, পরের দিন সেখানে গিয়ে তিনি ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় লাশ দেখতে পান।
বিজ্ঞাপন