জিতলে ফাইনালে যাওয়ার আরেকটা পরীক্ষার সুযোগ মিলবে। হারলে টুর্নামেন্ট শেষ। এমন ম্যাচে ধুঁকে ধুঁকে শুরুর পর শাদাব খানের ঝড়ে ১৪৪ রানের পুঁজি জমাতে পেরেছে ঢাকা প্লাটুন। পাকিস্তানি অলরাউন্ডার ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৪১ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সোমবার এলিমিনেটরের ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে এসে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৪ রান তুলেছে ঢাকা প্লাটুন। গেইল-মাহমুদউল্লাহদের সামনে পরের পরীক্ষা এখন তাদের বোলারদের।
তামিম ইকবালকে (৩) হারানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল পতনের। রুবেল হোসেন যখন তামিমের স্টাম্প ভেঙে দেন, তখনও শঙ্কার মেঘ জমেনি ঢাকার তারকাখচিত ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে।
পরে শুধু আসা-যাওয়ার মিছিল চলেছে প্লাটুন ব্যাটসম্যানদের। তাদের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের পাঁচজন দুঅঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি। যার তিনজন আবার রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
এনামুল হক বিজয়, লুইস রেইস ও জাকের আলি নামের পাশে কোনো রান যোগ করতে পারেননি। তামিম ৩ ছাড়া প্রথম ছয়ের মধ্যে ইনফর্ম মেহেদী হাসান ৭ রানে ফিরেছেন। পরে আসিফ আলির অবদান ৫ রান।
ওপেনিংয়ে ব্যতিক্রম হয়ে ছিলেন গত ম্যাচেই ঝড় তোলা আরেক ইনফর্ম মুমিনুল হক। বাকিদের আসা-যাওয়ার চাপে তার রানের গতিতেও লাগাম পড়ে যায়! সাবলীল থেকেও ৩১ রানের বেশি অবদান রাখতে পারেননি। ৩ চার ও এক ছক্কায় ঠিক ৩১ বলের ইনিংস।
ঢাকা যে এরপরও চ্যালেঞ্জিং একটা সংগ্রহে গেল, তাতে অবদান দুই বিদেশির। শাদাব খান ও থিসারা পেরেরা একশ পার করিয়েছেন। ৩ চার ও এক ছয়ে ১৩ বলে ২৫ করে ফেরেন পেরেরা।
শাদাব শেষঅবধি থাকলেন। দলকে দেড়শর কাছে নিলেন। তার ৬৪ রানের ইনিংসটা ম্যাচজয়ী হতে পারবে কিনা সেটার জন্য তাকিয়ে থাকতে হবে বোলারদের দিকে। শাদাব নিজেও বল করেন, লেগস্পিনে ভেল্কি দেখানোর সুযোগ থাকছে তার সামনেও।
গত ম্যাচে ক্যাচ নিতে যেয়ে হাতে ১৪ সেলাই লাগা মাশরাফী এদিন খেলছেন। ব্যাটিংয়েও নেমেছিলেন। ২ বল খেলে রান নিতে পারেননি। শাদাবকে স্ট্রাইক দেয়াই ছিল তার আসল কাজ, সেটা ভালোভাবেই করেছেন। ১৯তম ওভারের শেষ বলে এক রান না নিয়ে শেষ ওভারের জন্য শাদাবকে স্ট্রাইকে রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন। জিয়ার করা ওই ওভাবে ২৩ রান তুলে ম্যাচ জমিয়েছেন শাদাব।
মাশরাফীর ১৪ সেলাই নিয়ে খেলা, অধিনায়কের এই দৃঢ় মনোভাবের ম্যাচে ব্যাটিংয়ের টপ-মিডল অর্ডারের সতীর্থরা কেউ অনুপ্রাণিত হতে পারলেন না। পরে বোলাররা পারলে বেঁচে যায় ঢাকা!
চট্টগ্রামের হয়ে রায়াদ এমরিত ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন ও নাসুম আহমেদ। এক উইকেট মাহমুদউল্লাহর ঝুলিতে।