মালয়েশিয়ায় আবারও কর্মী পাঠানোর বিষয়ে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। রোববার সকালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে এ স্মারক সই হয়।
কুয়ালালামপুরে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী সারভানান এবং বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তি সাক্ষর করেন।
ইমরান আহমদ আশা করেন, দীর্ঘ ৩ বছর বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশের সম্ভাবনায় শ্রম বাজার মালয়েশিয়ায় আবারও কর্মী যাওয়ার দ্বার খুলতে যাচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যে কর্মী পাঠানো শুরু হতে পারে।
গত ১০ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার কেবিনেটে বৈঠকের পর কৃষি, শিল্প, খনি, অবকাঠামো নির্মাণ, গৃহস্থালি সেবা ও পরিচ্ছন্নতাসহ সব খাতেই বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়োগের ব্যাপারে একমত হয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।
৬ লাখ কর্মীর চাহিদা রয়েছে দেশটিতে। সেক্ষেত্রে ১৯ ডিসেম্বর দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হওয়ায় ৩ লাখের বেশি কর্মী পাঠাতে চায় বাংলাদেশ।
মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ সমঝোতা স্মারকে কর্মীদের যেসব শর্ত থাকছে তা হলো- বয়স ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। ভিন্ন ভিন্ন পেশায় নিয়োগ কর্তা ঘোষিত যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকতে হবে। বাংলাদেশে প্রি-ডিপারচার ওরিয়েন্টেশন সম্পন্ন করা। ন্যূনতম ইংরেজি এবং মালয় ভাষায় জ্ঞান থাকা।
মালয়েশিয়ান আইনে জাতীয় নীতি মেনে চলা। মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যনীতি মেনে চলা। কোন অপরাধ রেকর্ড না থাকা। যে কোন সময় মালয়েশিয়া সরকারের গৃহিত আইন মানা।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, যে দক্ষতার শ্রমিক তারা চাচ্ছেন ওই হিসেবেই আমাদেরকে দিতে হবে। কনস্ট্রাকশনে আমাদের অনেক দক্ষ মানুষ আছে তাদেরকে আমরা সেখানে পাঠাতে পারবো। প্লান্টেশনেও আমরা দক্ষ মানুষ দিতে পারবো।
এর আগে ২০১৭ সালে ৪০ হাজার টাকায় বাংলাদেশি কর্মী নেয়ার চুক্তি হলেও অভিবাসন ব্যয় দাঁড়ায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। সেসব বিষয় মাথায় রেখে এবার অভিবাসন ব্যয় ১ লাখ ৬০ হাজার করার প্রস্তাবনার কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী।