মালদ্বীপের চলমান রাজনৈতিক সংকট আরো জটিল আকার ধারণ করেছে। আন্তর্জাতিক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাকে পাশ কাটিয়ে চলমান জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৩০ দিন বাড়ানোর প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন।
বিরোধীদলীয় এমপিরা এ উদ্যোগকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছে।
জরুরি অবস্থা বাড়ানোয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মালদ্বীপের প্রতিবেশী দেশ ভারত।
এনডিটিভি জানিয়েছে, মালদ্বীপে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর পর ভারত গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করে বিবৃতি দেয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মালদ্বীপের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে কাজ করার বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি।’
‘জরুরি অবস্থা বাড়ানোয় রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও বিচার বিভাগসহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়ছে।’
জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর পর মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
‘জাতীয় নিরাপত্তা ও সাংবিধানিক নির্দেশ নিশ্চিতের পাশাপাশি আইনের শাসন সমুন্নত রাখা এবং দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা জন্য সর্বশেষ উপায় হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’
গত ১ ফেব্রুয়ারি সর্বোচ্চ আদালত স্বেচ্ছায় নির্বাসিত সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ নাশিদসহ কারাবন্দি বিরোধী দলীয় নেতাদের মুক্তির নির্দেশ দেয়ার পর জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি উল্লেখ করে বিতর্কের মুখে জরুরি অবস্থা জারি মালদ্বীপের ক্ষমতাসীন দল।