নানাপক্ষের নিষেধ এবং দফায় দফায় সংঘর্ষের পরও বিতর্কিত নির্বাচন করার জন্য ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ‘স্বৈরশাসক’ বলে উপাধি দিয়েছে মার্কিন সরকার। একই সঙ্গে তার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি।
এই নিষেধাজ্ঞার অধীনে যুক্তরাষ্ট্রে মাদুরোর থাকা যে কোনো ধরণের সম্পদ-সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। এছাড়াও কোনো মার্কিন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মাদুরোর সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না।
রোববার তীব্র গণবিক্ষোভের মাঝে ওই গণপরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শুধু রোববারের পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষে মারা গেছে অন্তত ১০জন।
বিবিসি জানিয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার খবর পেয়ে প্রতিক্রিয়ায় মাদুরো বলেন, রোববারের নির্বাচন ছিল ‘বিপ্লবের জন্য ভোট’। ওই সাম্রাজ্যের (যুক্তরাষ্ট্র) চাপানো অবরোধে তিনি ভয় পান না বলেও উল্লেখ করেন।
সোমবার রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে দেয়া বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট মাদুরো বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে সম্রাট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেয়া সিদ্ধান্তগুলো তার মরিয়া অবস্থা এবং ঘৃণাই প্রকাশ করে।’
‘আমি কখনো বিদেশি সরকারের নির্দেশ পালন করি না, করবও না… যত খুশি অবরোধ দাও, কিন্তু ভেনেজুয়েলান জনগণ স্বাধীন থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আমি এক মুক্ত জাতির স্বাধীন প্রেসিডেন্ট,’ বলেন তিনি।
ভেনেজুয়েলার নতুন গণপরিষদের হাতে সংবিধান পুনর্লিখনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এটি চাইলে প্রয়োজনে বিরোধী দল নিয়ন্ত্রিত জাতীয় সংসদকেও বাতিল করে দিতে পারে।
বিরোধী দলীয় জোট এই নির্বাচন বয়কট করেছিল। তাদের দাবি, মোট ভোটারের ৮৮ শতাংশই ভোট দেয়নি। তাই তারা রোববারের নির্বাচনের ফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানান, ৪১.৫ শতাংশ ভোটার নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।