চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘ভালোবাসার টানে’ বৃদ্ধাকে বিয়ে করলো কিশোর

ইন্দোনেশিয়ায় সেলামাতের (১৬) সাথে ৭০ বছরেরও বেশি বয়স্কা রোহায়ার বিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। প্রথা ও আইনের লঙ্ঘন করে এই বিয়ের ব্যাপারে স্থানীয়দের দাবি, বর-কনের আত্মহত্যা হুমকির মুখেই বিয়েতে রাজি হয় তারা। অনলাইনে এই বিবাহ অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও প্রকাশিত হলেই তা সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করে।

স্থানীয় পত্রিকা সূত্রে জানা যায়, পিতাকে হারানো এবং মায়ের অন্যত্র বিয়ের কারণে অনেকটাই নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছিলেন সেলামাত। সেলামাত ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হলে তার সেবা শুশ্রষা করে রোহায়া। তখনই তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে। অনেকেরই অভিমত, মনোযোগ ও ভালোবাসা পেয়েই ছেলেটি বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

পাত্রী রোহায়ার বয়স ৭১ থেকে ৭৫ বলে ধারণা করা হচ্ছে। রোহায়ার তৃতীয় বিয়ে এটি। পূর্বের দুই স্বামীর ঘরে তার কয়েকজন সন্তান রয়েছে।

সাউথ সুমাত্রার গ্রামটির প্রধান চিক এ্যানি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এএফপি’কে বলেন, ছেলেটি নাবালকে বলে আমরা গোপনে বিয়েটি সমাধানের সিদ্ধান্ত নেই। ‘ব্যভিচারের পাপ এড়ানোর’ জন্য ২ জুলাইয়ের এই বিয়েটি সম্পন্ন করা হয় বলেও জানান তিনি।

ইন্দোনেশিয়ার আইন অনুযায়ী বিয়ের জন্য মেয়ের বয়স কমপক্ষে ১৬ বছর এবং পাত্রের বয়স হতে হবে কমপক্ষে ১৯ বছর।

‘অত্যন্ত বিরল ঘটনা’ 
বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে কাজ করা পেলামবাং-এর ওমেন ক্রাইসিস সেন্টারের কর্মী ইয়েন্নি ইজ্জি বিবিসি’কে বলেন, এই বিয়ের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। আর্থিক বা শারীরিক কারণে ছেলেটি বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়নি। বরং মনোযোগ ও ভালোবাসা পেয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয় সে।

“সে এখনও যথেষ্ট পরিণত নয়, তাই এই মনোযোগ ও ভালোবাসা পেয়ে তার মনে হয়েছে একসাথে থাকাই সমাধান। একসাথে থাকা মানেই বিয়ে করা।”

আঞ্চলিক কর্মকর্তারা এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও কি ধরণের পদক্ষেপ নিবে, আদৌ কোন পদক্ষেপ নিবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
ইন্দোনেশিয়ার সমাজ কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী খোফিফাহ ইন্দার পারাওয়ানসা জাকার্তা পোস্টকে জানান, ধর্মীয়ভাবে তাদের বিয়ে করার কোন সুযোগ নাই, কারণ বর এখনও নাবালক।

সাউথ সুমাত্রার গভর্নর এ্যালেক্স নোয়েরদিন বলেন, এটা অস্বাভাবিক ঘটনা। তাদের মধ্যে বয়সের ব্যবধান বিশাল। অনেক ক্ষেত্রেই মেয়েদেরই তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একজন কিশোরের সাথে বয়স্কা মহিলার বিয়ে এই বিয়ে আমাকে হতবাক করে দিয়েছে।