ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের ট্রাক্টর র্যালি ঘিরে সারাদিন হিংসাত্মক ঘটনায় ১৫টি মামলা হয়েছে। সেই ঘটনায় ১১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। নিহত হন একজন কৃষক।
এনডিটিভি বলছে, সংঘর্ষের সময় ৮টি বাস ও ১৭টি প্রাইভেট গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ের আগেই মিছিল শুরুর নির্দিষ্ট রুট মেনে চলেননি কৃষকদের একাংশ। তার জেরে দিনভর উত্তপ্ত ছিলো দিল্লি এবং দিল্লির সংলগ্ন এলাকা। একাধিক এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে পাথর। পাল্টা লাঠি চালিয়েছে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসও নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। আর বিক্ষুব্ধরা দরজা ভেঙে লালকেল্লায় ঢুকে নিজেদের পতাকা উড়িয়েছেন।
আন্দোলনের মাঝেই ট্রাক্টর উলটে মৃত্যু হয়েছে এক কৃষকের। তবে বিক্ষোভকারীদের দাবি, ওই কৃষকের ট্রাক্টর লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল।
সংর্ঘের পর চাপের মুখে সন্ধ্যার দিকে র্যালি বাতিল ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন কৃষক আন্দোলনের নেতারা। হিংসাত্মক এই ঘটনার দায় মাথা পেতে নিয়েছেন স্বরাজ ইন্ডিয়ার সভাপতি যোগেন্দ্র যাদব।
তিনি বলেন, যেভাবে বিষয়টি এগিয়েছে, তাতে আন্দোলনের অংশগ্রহণকারী হিসেবে লজ্জা বোধ করছি এবং এই ঘটনার দায় নিচ্ছি আমি।
র্যালি স্থগিত করে কৃষকরা বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালানো হবে। পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে শিগগিরই কর্মসূচি জানানো হবে।