প্রতিবেশী দেশ ভারতে তিন ব্যক্তির জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়ে তথ্যটি জানিয়েছে তারা।
গুজরাটের আহমেদাবাদে এডিস মশাবাহিত এই ভাইরাসে আক্রান্তদের খোঁজ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে দু’জন অন্তসত্ত্বা নারী এবং আরেকজন ৬৪ বছর বয়সী বৃদ্ধ। গুজরাট প্রশাসন জানিয়েছে, জিকা আক্রমণের তিনটি কেসই গত বছরের নভেম্বর থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে সনাক্ত হয়। তারা সবাই একই এলাকার অধিবাসী।
এখন পর্যন্ত ৩০টির মতো দেশে জিকা সংক্রমণ সনাক্ত করা হয়েছে। গর্ভবতী নারী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সন্তান জটিল কিছু জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি রোগ হচ্ছে মাইক্রোসেফালি। এ রোগে শিশু অস্বাভাবিক রকম ছোট মাথা এবং অপরিণত মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মায়।
তবে আক্রান্ত দুই নারীর একজন (৩৪) গত ৯ নভেম্বর একটি শিশুর জন্ম দিয়েছেন। পরীক্ষা করে শিশুটি সুস্থ বলেই জানান চিকিৎসক। আরেক নারীর (২২) দেহে জিকা ভাইরাস ধরা পড়ে তার গর্ভধারণের ৩৭তম সপ্তাহে। তিনিও সুস্থ শিশুর জন্ম দিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
গুজরাটের সবচেয়ে সিনিয়র আমলা জেএন সিং সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আক্রান্তদের কারও মাঝে কোনো শারীরিক জটিলতা দেখা যায়নি। আক্রান্তের সংখ্যা বেশি ছিল না বলে সরকার ইচ্ছা করেই জিকা সংক্রমণের বিষয়টি জনগণের কাছে প্রকাশ করেনি বলেও জানান তিনি।
মূলত এডিস মশার কামড়ের মধ্য দিয়ে ছড়ালেও যৌন সম্পর্কের মাধ্যমেও জিকা ভাইরাস ছড়াতে পারে। তবে এভাবে ভাইরাসটি ছড়ানোর প্রবণতা খুব কম দেখা গেছে।