যানবাহনের ফিটনেস আর ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি-বিআরটিএ’তে আগের চেয়ে গ্রাহকদের ভিড় বেড়েছে কয়েকগুণ। গাড়ি ও মানুষের উপচেপড়া ভিড় ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে কাজ বাড়লেও আলাদা বুথ বা জনবল বাড়ানো হয়নি, কমেনি দালালদের দৌরাত্ম্য।
বিআরটিএ’র মিরপুর কার্যালয়ের বাইরে প্রকাশ্যেই দালাদের সঙ্গে চলছে গ্রাহকদের অর্থের লেনদেন।
মোহাম্মদ আলী। বিআরটিএ’র দালাল। বিআরটিএ‘র সব কাজেই দক্ষ তিনি। মোহাম্মদ আলীর কাছে এসেছেন প্রবীণ গাড়ি চালক মোস্তফা। ১৯৭৮ সালে প্রথম লাইসেন্স পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৯২ সালের পর আর তা নবায়ন করেননি। বিআরটিএ’তে ঘুরেছেন অনেক, কাজ হয়নি। এখন শেষ ভরসা দালাল।
অনেকে আবার বাঁকা পথে প্রথমেই আসেন দালালের কাছে।
নতুন নিয়মে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে বিআরটিএ’র সেবা কার্যক্রম। সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার হওয়ায় ড্রাইভিং লাইসেন্স, রোড পারমিট ও ফিটনেস হালনাগাদ করতে সরকারি-বেসরকারি গাড়ির দীর্ঘ লাইন মূল কার্যালয় ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে প্রায় এক কিলোমিটার দুর পর্যন্ত।
কিন্তু গ্রাহক সংখ্যা বাড়লেও কাজে গতি বাড়েনি। প্রায় প্রতিটি লাইনেই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসচায় জড়িয়ে যাচ্ছেন গ্রাহকরা।
তবে আছে ভিন্ন চিত্রও। স্বাভাবিক নিয়মে দ্রুত সেবা পেয়েছেন এমন কথা জানিয়েছেন সরকারি সংস্থার লোকজন। বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা বলছেন, সাধ্যমতো সেবা দেয়ার চেষ্টা আছে তাদের।
সহজে কাজ করিয়ে নেয়ার নামে দালালদের কাছে কখনোই না যাওয়ার পরামর্শ কর্মকর্তাদের।
মোস্তফা মল্লিকের রিপোর্ট