প্রয়াত বাবার একটা ভিডিও ফুটেজ দেখে কেঁদে ফেললেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সম্প্রতি জুভেন্টাস তারকার একটি ইন্টারভিউ নেয়া হচ্ছিল। সেখানে সঞ্চালক হঠাতই চমকে দিতে বড় পর্দায় রোনালদোর কিছু পুরোনো ক্লিপিংস দেখানো শুরু করেন। যার একটি অংশ ছিল রোনালদোর প্রয়াত বাবা হোসে দিনিস আভেইরোর। হোসে দিনিস সেখানে গর্ব করে বলছেন, ছেলে ক্রিস্টিয়ানোর কথা।
ভিডিওটি দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সিআর সেভেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন। বলেন, ‘আমি এই ভিডিও আগে দেখিনি। কখনোই দেখিনি। এটা আমার কাছে বিশ্বাস হচ্ছে না।’
কথা বলতে বলতে কাঁদতেই থাকেন রোনালদো। সঞ্চালক রোনালদোকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি এই ভিডিও দেখে এতটা আবেগতাড়িত কেন? রোনালদোর জবাব, ‘বাবা যখন মারা যান, তখন আমি সেভাবে বড় ফুটবলার হইনি। কোনো খেতাবও জিতিনি। তবু উনি আমার সম্পর্কে কতটা উচ্চাশা তখনই পোষণ করেছিলেন। এটা আমার কাছে খুবই আবেগের।’
এখানেই থামেননি পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। তার কথায়, ‘আমার বড় হওয়ার সবকিছু আমার মা, ভাই, এমনকি দাদুও দেখেছেন। কিন্তু বাবা এত কম বয়সে মারা যান যে তিনি আমার কিছুই দেখে যেতে পারেননি।’
রোনালদোর বাবা মাত্র ৫২ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে। সেটা ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে। রোনালদো তখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভিয়ারিয়ালের বিরুদ্ধে গ্রুপ লিগের ম্যাচ খেলে উঠে রোনালদো শুনেছিলেন বাবার মৃত্যুর কথা। ১৪ বছর পর সেরকমই এক সেপ্টেম্বরের বিকেলে বাবার কথা ওঠায় চোখের জলে ভাসলেন পর্তুগিজ তারকা।
এদিকে, রোনালদো স্বীকার করেছেন যে, আমেরিকার এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে পরিবারকে রক্ষার চেষ্টা করার সময় তিনি ‘বিব্রতকর’ বোধ করেছিলেন।
২০০৯ সালের জুনে রোনালদোর বিরুদ্ধে লাস ভেগাসের একটি হোটেলে ক্যাথরিন মায়োরগাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছিল।
১০ বছর আগের ওই অভিযোগ ওঠার পর থেকেই অস্বীকার করে এসেছেন পর্তুগিজ তারকা। গত বছর এই নিয়ে নতুন করে আলোচনা এবং তদন্তের পর চলতি বছর অভিযোগ থেকে মুক্তি পান রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক সুপারস্টার।