সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার ন্যায় বিচার পেতে সৌদি বাদশা সালমানের প্রতি আস্থাশীল বলে জানিয়েছেন খাশোগির দুই পুত্র সালাহ খাশোগি, আব্দুলাহ খাশোগি। তারা বলেন, বাদশাহ সালমান আমাদের কথা দিয়েছেন দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
রোববার মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তারা এ কথা বলেন।
এসময় সালাহ খাশোগি বলেন, সবাই ন্যায় বিচার চাওয়াতে বাদশা সালমান চাপে আছেন। তবে ন্যায় বিচারে পেতে তার উপরে আমার বিশ্বাস আছে।
‘এখন অনেকে তার রাজনৈতিকভাবে উত্তরাধিকার দাবি করছেন ,যেটা দুঃখজনক। আমরা এরকম রাজনৈতিক মতবাদের সঙ্গে একবারেই একমত নই। আমাদের ভয় এটাকে অতি মাত্রায় রাজনীতিকরণ করা না হয় যেন।’
তিনি বলেন, ‘আমার বাবা কখনোই সৌদি বিদ্বেষী ছিলেন না। বরং তিনি দেশকে এক সঙ্গে রাখতে রাজতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন।’
ওয়াশিংটনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে আব্দুলাহ খাশোগি বলেন, আমি সত্যই আশাবাদী যে বাবাকে কম কষ্ট দিয়ে হত্যা করা হয়ছে। যেটা তার জন্য খুব একটা কষ্টকর ছিলো না। শান্তির মৃত্যু ছিলো এটি। এখন আমাদের একটাই চাওয়া তাকে যেন মদিনার আল-বাকিতে পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে দাফন করতে পারি।
‘আমি এ বিষয়গুলো নিয়ে সৌদি সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি আশাবাদি খুব দ্রুত এর সমাধান হবে।’
‘তবে এটি খুব জটিল ও বিভ্রান্তিকর ঘটনা। আমরা চেষ্টা করছি হত্যার প্রকৃত সত্য বের করতে। তবে বাবার হত্যা কোন সাধারণ ঘটনা নয় এবং সাধারণ মৃত্যুও নয়।’
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে গিয়ে নিখোঁজ হন সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি। প্রথম দিকে হত্যার দায় স্বীকার না করলেও পরে সৌদি সরকার স্বীকার করে, কনস্যুলেটের ভেতরে ‘ধস্তাধস্তিতে’ খাশোগি নিহত হন। এর দায়ে ১৮ জন অফিসারকে গ্রেপ্তার করে সৌদি সরকার।
এ ব্যাপারে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘আমরা জানি দোষী ব্যক্তিরা সৌদি আরবে আটক ১৮ সন্দেহভাজনের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত। আমরা এটাও জানি, এরা তুরস্কে এসেছিল শুধু তাদেরকে দেয়া নির্দেশ অনুসরণ করতে: খাশোগিকে খুন করে দেশে ফেরত যাওয়া। সর্বশেষ আমরা জানতে পেরেছি, সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ এসেছিল।’