সামাজিক ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা বলয় বিস্তৃত করার অঙ্গীকার করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণে বছরে দুটি উৎসব ভাতা, সকল প্রতিবন্ধীকে পরিচয়পত্র প্রদান এবং বয়স্ক ভাতাভোগীদের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র ও ক্রমবর্ধমান বৈষম্য কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করতে একটি সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে সাজানো হয়েছে জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্র।
এ লক্ষ্যে সকল প্রতিবন্ধীকে পরিচয়পত্র প্রদান, বয়স্ক ভাতাভোগীদের সংখ্যা ৩১ লাখ ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩৫ লাখ, বিধবা ও স্বামী নিগৃহিতা মহিলা এবং অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিদ্যমান মাথাপিছু সম্মানী ভাতার অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা হারে বছরে ২টি উৎসব ভাতা এবং দরিদ্র মায়েদের জন্য মাসিক মাতৃত্বকাল ভাতাভোগীর সংখ্যা ১ লাখ বাড়িয়ে ৬ লাখে উন্নীত করাসহ বেশকিছু পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতের সব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেবে সরকার।