উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পর সার্বিক বিষয়ে প্রয়োজনে দেশের বাইরে থেকে সাহায্য নিতে নেপাল সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ঘটনার শিকার নেপালিদের স্বজনরা। তাদের দাবি, সেখানে এখন মূল সমস্যা মানবশক্তির।
ইউএস বাংলার বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে থাকা একজন নেপালি যাত্রীর স্বজন সাংবাদিকদের বলেন, আমি গত পরশুদিন বিকালেই কেএমসি হাসপাতাল দেখেছি। সরকারকে আহ্বান জানাবো, দরকার হলে বাইরে থেকে সাহায্য নিন। এখানে মূল সমস্যাটা হচ্ছে মানবশক্তির।
‘আমার ভাই ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের মার্কেটিং ডাইরেক্টর ছিল। এখনো ১১টি মানুষ নিখোঁজ। তাহলে কিভাবে উদ্ধারকাজ থেমে যাবে?
সোমবার ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বোমবার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ৪০০ উড়োজাহাজটি ঢাকা থেকে ছেড়ে গিয়ে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নেপালে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫১। এর মধ্যে ২৮ জন বাংলাদেশি, ২২ জন নেপালি এবং ১ জন চীনা নাগরিক। চিকিৎসাধীন যাত্রীদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উড়োজাহাজটিতে থাকা ৬৭ যাত্রীর মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশী, ৩৩ জন নেপালি, একজন মালদ্বীপের এবং একজন চীনের নাগরিক। উড়োজাহাজটিতে ৬৭ যাত্রীর পাশাপাশি ৪ জন ক্রু ছিলেন বলে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
দুর্ঘটনায় প্রথমেই মৃত্যু হয় ওই ফ্লাইটের সহকারি পাইলট এবং ইউএস বাংলার প্রথম নারী পাইলট পৃথুলা রশিদের। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদকে। মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ক্যাপ্টেন আবিদও মারা যান।