ক্রাইস্টচার্চে টেস্ট ক্যাপ পেয়ে কাজে লাগিয়েছে নুরুল হাসান সোহান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এই দুই অভিষিক্ত ব্যাটসম্যানের কল্যাণে প্রথম দিনের শেষদিকে তাদের ব্যাট ধরেই প্রতিরোধ পায় বাংলাদেশ। নুরুল হাসানের টেস্ট সুলভ একটি অসাধারণ ইনিংসের পর কিউই বোলারদের যন্ত্রণায় ফেলেন বোলার কামরুল হাসান। শেষ পর্যন্ত দিনের পাঁচ ওভার বাকি থাকতেই ২৮৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
টাইগারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন সৌম্য সরকার। কিউই বোলারদের মধ্যে টিম সাউদি পাঁচটি ও ট্রেন্ট বোল্ট চারটি উইকেট নেন।
প্রথম দিনের শেষ সেশনে লড়াইটা চালায় মূলত সোহান ও কামরুল হাসান রাব্বি। সোহানের আউটের পর রাব্বি কিউই বোলারদের ৬৩ বল মোকাবেলা করেন। দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাউদির বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে করেন ২ রান। অপর প্রান্তে রুবেল হোসেন ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
তবে ষষ্ঠ উইকেটে অভিষেক হওয়া আরেক ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে জুটি বাঁধেন সোহান। ৫৩ রান যোগ করেন দুই অভিষিক্ত ক্রিকেটার। শান্ত ১৮ রানে সাজঘরে ফিরে গেলেও সোহান ব্যাট চালিয়ে যান। তবে ৪৭ রানের একটি টেস্ট সুলভ ইনিংস খেলেন সোহান। বোল্টের লেগ স্ট্যাম্পের বাইরের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন সোহান।
টাইগারদের বড় ইনিংসের স্বপ্নের সারথি হয়েছিলেন সাকিব ও সৌম্য। তৃতীয় উইকেট জুটিতে সৌম্য ও সাকিবের শতরানের জুটিতে ভালোই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। সাকিবকে নিয়ে ১২৭ রানের জুটি গড়ে দারুণ জবাব দিচ্ছিলেন সৌম্য। বোল্টের বলে গ্র্যান্ডহোমকে ক্যাচ দিয়ে যার ইতি ঘটেছে। ফেরার আগে ১১ চারে ১০৪ বলে ৮৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি সৌম্য।
রান খরায় দুঃসময় আর চাপকে পেছনে ফেলার ঝলমলে ফিফটিকে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন সৌম্য সরকার। মধ্যাহ্ন বিরতির পর ৮৬ রানে ফিরেছেন। কিন্তু সৌম্যর বিদায়ের পর দ্রুতই ফিরে যান সাব্বির রহমান আর সাকিবও। বোল্টের বলে সাউদিকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাব্বির (৭)। পরের ওভারে সাউদির লেগ স্টাম্পের বাইরে বলে উইকেটকিপার ওয়াটলিংকে ক্যাচ দেন সাকিব (৭৮ বলে ৯ চারে ৫৯)। ২ উইকেটে ১৬৫ থেকে বাংলাদেশের স্কোর তখন ৫ উইকেটে ১৭৯। ১৭ বল আর ১৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সফরকারীরা।
সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই সাজঘরে হাঁটা দিয়ে বিপদ বাড়িয়েছেন সাব্বির রহমান। দ্রুত তাকে অনুসরণ করে সাকিব আল হাসান বিপদ আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেন।
এর আগে প্রথম টেস্ট অধিনায়কত্ব করতে নেমে টস হারেন তামিম ইকবাল। ইনিংটাও বড় করতে পারেন নি তামিম। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে কিউই পেসার টিম সাউদির লেগ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে উইকেটরক্ষক ওয়াটলিংকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান (৫)। বাংলাদেশের স্কোর তখন ১ উইকেটে ৭।
তামিমের বিদায়ের পর তিনে নামেন মাহমুদউল্লাহ।প্রথমবারের মতো তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। শুরুটা ভালোই করেছিলেন। পঞ্চম ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের তিন বলের মধ্যে মারেন দারুণ দুটি চার। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ডানহাতি ব্যাটসম্যান। একাদশ ওভারে ওই বোল্টের বলেই উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিংকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন (১৯)। বাংলাদেশের স্কোর তখন ২ উইকেটে ৩৮।