ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। বুধবার বিসিবি একাদশকে ৭ উইকেটে হারায় সফরকারীরা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কোনো রকম প্রতিরোধই গড়তে পারেনি মুশফিক-সাব্বিরদের নিয়ে গড়া বিসিবি একাদশ।
ফতুল্লায় প্রথম ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪২ রান করে বিসিবি একাদশ। জবাবে ১৬ বল হাতে রেখে মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান তোলে জিম্বাবুয়ে।
বিসিবি ইনিংসের জবাব দিতে নেমে শুরুটা একরকম মনের মতোই হয় জিম্বাবুয়ের। ৪.৫ ওভারে ৪২ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হয় তাদের ওপেনিং জুটি। ২৩ বলে ছয়টি চারে ৩১ রান করেন অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা।
এরপর দ্রুতই শেন উইলিয়ামস (২) ও শেন আরভিনকে (৪) তুলে নেন আফিফ হোসেন। তার তিন ধাক্কার পর জিম্বাবুয়েন ব্যাটসম্যানদের আর টলাতে পারেননি বিসিবির কোনো বোলার।
৬৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর আর কোনো ব্যাটসম্যানকে হারায়নি সফরকারীরা। ৭৮ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন থাকার পাশাপাশি দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ব্রেন্ডন টেলর ও টিমিসেন মারুমা।
৪৪ বলে দুই চার ও তিন ছয়ে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন টেলর। ২৮ বলে পাঁচ চার ও এক ছয়ে ৪৬ রান করেন আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান মারুমা।
এর আগে ব্যাট হাতে বিসিবি একাদশের হয়ে শুরুতে ইঙ্গিতটা বেশ ভালোই দিয়েছিলেন দুই ওপেনার। কিন্তু স্কোরবোর্ডে ২৬ রান জমা হতেই আউট হয়ে যান সাইফ হাসান। ১৯ বলে সমান একটি করে চার-ছয়ে ২১ রান করেন তিনি।
সাইফের চেয়ে বেশি আগ্রাসী ছিলেন মোহাম্মদ নাঈম। ১৩ বল মোকাবেলা করে হাঁকান পাঁচটি চার। কিন্তু ২৩ রানের ইনিংসটা আর লম্বা করতে পারেননি তিনি।
দুই ওপেনার ফেরার পর মিডল অর্ডারে একটা ভালো ইনিংস খেলে দেন সাব্বির রহমান ও মুশফিকুর রহিম। কিন্তু যতটুকু ভালো হওয়ার দরকার ছিল ততটা করতে পারেননি। সাব্বির ৩০ ও মুশফিক ২৬ রান করে ফিরতেই মড়ক লাগে ব্যাটিং অর্ডারে।
আফিফ হোসেন ১০ রান করলেও দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি পরের চার ব্যাটসম্যানের কেউই।
১৮ রানে তিন উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের সফল বোলার শেন উইলিয়ামস। নেভিল মাদজিভা নেন দুটি উইকেট। টেন্ডাই চাতারা ও কাইল জারভিস নেন একটি করে উইকেট।
আগামী শুক্রবার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ত্রিদেশীয় সিরিজ। ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। আসরের অপর দল আফগানিস্তান।