প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের অতিথিদের সঙ্গে যোগ দিবেন ইউপিএ জোটের প্রধান সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে হারার পরও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব শপথ অনুষ্ঠানের যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা গোলাম নবী আজাদ।
বুধবার রাতে দলীয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রপতি ভবনে টানা দ্বিতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ করার কথা রয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির বিজেপির সঙ্গে বিপুল ব্যবধানে পরাজয় এবং নির্বাচনী প্রচারণায় কাদাছোঁঁড়াছুড়ি পরে সোনিয়া গান্ধীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগদান গুরুত্বপূর্ণ।
কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা গোলাম নবী আজাদ বলেন, নির্বাচন দুটি আদর্শের, দুটি দলের মধ্যে হয়েছে কিন্তু শপথ অনুষ্ঠান হবে প্রধানমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রী পুরো দেশের। তার কাছে দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা সবাই সমান বলে প্রত্যাশা করি।
অন্যদিকে, মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের জোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে রাইসিনা হিলসে। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে বুধবার তিন ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠক করলেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। এ ছাড়া এ দিন অরুণ জেটলিও বাড়িতে যান নরেন্দ্র মোদি।
২০১৪ সালের চেয়েও আরও বেশি আসন নিয়ে কেন্দ্রে সরকার গঠন করেছে বিজেপি তথা এনডিএ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মোদী। শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। অতিথিদের তালিকায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানসহ আমন্ত্রণ জানানো হয় বিরোধী দলের প্রধান ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবারই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাবেন না। ভোটে বিপর্যয় হলেও সাংবিধানিক কর্তব্য রক্ষায় সোনিয়া- রাহুল গান্ধী দু’জনই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন।