বাংলাদেশে পশ্চিমা নৃত্যের অন্যতম সেরা কোরিওগ্রাফার তানজিল আলম। সমসাময়িক সালসা, টেংগো, হিপহপ, ওয়েস্টার্ন থেকে শুরু করে বলিউড নৃত্য নিয়েই মূলত কাজ করছেন তিনি। দেশের বড় বড় ইভেন্ট মানেই তানজিলের ‘ঈগলস ড্যান্স কোম্পানী’র নাচ। প্রায় ২০ বছর ধরে নাচ নিয়ে কাজ করছেন তিনি। চলচ্চিত্র, স্টেজ, রিয়্যালিটি শো; সবখানেই তানজিলের কোরিওগ্রাফি।
সোমবার (২১ জানুয়ারি) এই তারকা নৃত্য পরিচালকের জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে তানজিল আলম বলেন, বাংলাদেশের নৃত্যশিল্পকে আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরে চাই। সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি। চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি জানালেন, তার অনেক ইচ্ছে নাচ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন।
তানজিল বলেন, আমাদের দেশের সবকিছু নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে। নাচ একটা শিল্প। এটা নিয়ে তাহলে চলচ্চিত্র কেন নয়? ২০ বছর ধরে নাচ নিয়ে কাজ করছি। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজ লাগাতে চাই। তানজিলের ভাষায়, নাচ নিয়ে আমি চলচ্চিত্র বানাবোই। পুরোপুরি আধুনিকে একটি সিনেমা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও পশ্চিমা নাচে সঙ্গে আমাদের সমন্বয়সহ এই সেক্টর যে কতোটা সমৃদ্ধ তাই তুলে ধরা হবে ওই চলচ্চিত্রে। তবে তার আগে অন্য গল্পে কমপক্ষে দুটো সিনেমা নির্মাণ করে হাত পাকিয়ে নিতে চাই। একটু একটু করে পরিকল্পনা মতো আগাচ্ছি। সবার সহযোগিতা পেলে অবশ্যই সফল হবো।
বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে নাচের নির্দেশনা ছাড়া বিদেশি তারকার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তানজিলের। ২০০৯ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’ ছবিতে প্রথম শাকিব খানকে একটি গানের কোরিওগ্রাফি করেন তিনি। হৃদয় খানের গাওয়া ‘আছে দু’চোখ কাছে আসার, আসে হৃদয় ভালোবাসার’ গান দিয়ে সেবারই সেরা নৃত্যপরিচালক হিসেবে জাতীয় স্বীকৃতি পান তিনি।
সেই সাহসকে পুঁজি করে ‘অগ্নি’, ‘দবির সাহেবের সংসার’, ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’, ‘ফুল অ্যান্ড ফাইনাল’, ‘ওয়ান ওয়ে’সহ অসংখ্য চলচ্চিত্রে গানের কোরিওগ্রাফি করেছেন তানজিল আলম। গেল বছর আমি নেতা হবো ছবিতে শাকিব-মিমকে নিয়ে লাল লিপস্টিক গানের কোরিওগ্রাফি করে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসেন। এছাড়া ‘হেইলা দুইলা নাচ’ গানের কোরিওগ্রাফি করেও প্রশংসা পান। বর্তমানে ইউটিউবে ওই গানের ভিউ ২ কোটি ৬৪ লাখ ছাড়িয়েছে।
ছবি : জাকির সবুজ