বরগুনার আমতলী উপজেলা তরমুজের জন্য বিখ্যাত। প্রতি মৌসুমেই এখানে তরমুজের ভালো ফলন হয়। এ মৌসুমে প্রতিদিনই তরমুজ ভর্তি অসংখ্য ট্রাক যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এ মৌসুমে তরমুজের ভালো ফলন হলেও দাম পাচ্ছেন না কৃষক। সেই সাথে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি হওয়ায় বাড়তি তরমুজ সংরক্ষণ করার প্রয়োজনীয়তার কথা জানান কৃষক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
তরমুজের ভাল ফলন হওয়ার ফলে কৃষকরা হিমাগারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। বরগুনার এক তরমুজ চাষি বলেন, তরমুজ সংরক্ষণের জন্য একটা কোল্ড স্টোর থাকত তবে আমরা আরো অনেক তরমুজ রাখতে পারতাম আর আমাদের লাভটাও বেশি হত।
দেশের অন্য অঞ্চলের তরমুজের চেয়ে মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রয়েছে এর চাহিদা। এই চাহিদার কারনে দূর-দূরান্ত থেকে পাইকাররা আসে তরমুজ কিনতে। তরমুজ কিনতে আসা এক পাইকার বলেন, গত বছর আমি এই ক্ষেত থেকেই তরমুজ কিনেছি তাই এবারও এসেছি।
চাহিদা থাকায় কৃষক তরমুজ চাষের দিকে ঝুঁকছে। বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবে, এ বছর পাঁচ হাজার একশো হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। এর মধ্যে আমতলী উপজেলাতেই চাষ হয়েছে তিন হাজার আটশো হেক্টর জমিতে। হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে ৫০ মেট্রিক টন।
বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অশোক কুমার হালদার বলেন, যখনই আমাদের এ অঞ্চলে কোন ফসল ভাল হয় তখনই বাজারে দাম কমে যায়। এই তরমুজ যদি সংরক্ষন করতে পারি তবে চাষিরা বেশি লাভবান হয়।
বরগুনা জেলার ধানখালি, নোমর হাট, তালুকদার বাজার ও কুকুয়া তরমুজ চাষের জন্য প্রসিদ্ধ জায়গা।