আসাদ সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যুদ্ধবিরতির ফলে বৃষ্টির মতো বোমা বর্ষণ আর কানের পাশ দিয়ে শীষ কেটে যাওয়া বুলেটের শব্দ এখন প্রায় নেই বললেই চলে। তবে নিজের সাজানো বাড়িটি বুলেটে ঝাঁঝরা কিংবা যুদ্ধবিমানের বোমায় এখনও ধ্বংসস্তুপ হিসেবেই আছে। তবুও নিজের ঘরে নিজের ইচ্ছাতেই সিরিয় শরণার্থীরা দেশে ফিরছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
ইউএনএইচসিআর বলছে, এ বছরের প্রথম ৬ মাসে তুরস্ক, জর্ডান ও লেবানন থেকে দেশে ফিরেছে প্রায় ৩২ হাজার সিরিয় শরণার্থী। আর সিরিয়ার নানা প্রান্তে আশ্রয় নেয়াদের মধ্যে প্রায় ৪ লক্ষাধিক মানুষ ফিরে এসেছে নিজেদের বাড়িতে।
সংস্থাটির মুখপাত্র আন্দ্রেজ মাচিচ জানান, এখন ফিরে আসা সিরিয়রা আত্মীয়-স্বজনদের খুঁজছে, সহায়-সম্পদ কতটুকু আছে সেসবের হিসেব কষছে।
তবে এখনই শরণার্থীদের সিরিয়ায় ফিরতে উৎসাহিত করছে না ইউএনএইচসিআর। কেননা সিরিয়ার শহরগুলো বসবাসের জন্য পুরোপুরি নিরাপদ হয়েছে এমনটা এখনই বলা যাচ্ছে না। নিজেদের ইচ্ছায় দেশে ফেরাদের জন্য আদৌ সিরিয়া কতটুকু নিরাপদ তা নিয়েও শঙ্কা আছে।

তবে শঙ্কা থাকলেও ঘরে ফেরা মানুষদের নিরাপত্তা এবং আশ্রয়কে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছে ইউএনএইচসিআর। যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ি-ঘর মেরামতেও সাহায্য করছে এ সংস্থা।
সংস্থাটির মুখপাত্র আরও জানান, কর্মসংস্থান, যথেষ্ট খাবার, পানি এবং স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত না হলে এই গণহারে দেশে ফেরা বেশিদিন টেকসই হবে না।
যারা দেশে ফিরছেন তাদের জন্য সাহায্য চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেশে ফেরা শরণার্থীদের সহায়তা করবো। তবে প্রতিবেশী দেশ এবং ইউরোপে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে উৎসাহ দেয় এমন কিছু করবে না ইউএনএইচসিআর।’
কিন্তু শরণার্থী সিরিয়দের দেশে ফেরাতে জার্মানি, অস্ট্রিয়া, নরওয়ের মতো ইউরোপীয় দেশগুলো লোভনীয় আর্থিক সহায়তার সুযোগ দিচ্ছে।