পটুয়াখালীর পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সড়ক যোগাযোগ এখন জোয়ার-ভাটা নির্ভর। অমাবস্যা, পূর্ণিমা ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ঐ মহাসড়কের কলাপাড়া ও হাজীপুর ফেরী ঘাটের গ্যাংওয়ে বেইলি ব্রিজ ডুবে গেছে। এ অবস্থায় গত ৫/৬ দিন যাবৎ প্রতিদিন অন্তত ৮ ঘণ্টা ফেরী পারাপার বন্ধ থাকে। যানবাহন পারাপার এখন অনেকটাই জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভরশীল হওয়ায় গন্তব্যে পৌঁছতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পর্যটকসহ স্থানীয়রা । দুই নদীর ফেরিঘাটে অসংখ্য যানবাহন আটকে দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, একটু উচু জোয়ার হলে কুয়াকাটার সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পানি কমলে পুনরায় গাড়ি পারাপার শুরু হয়। যশোর থেকে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটক আবু নাইম জানান, কলাপাড়া ফেরি ঘাটের বেইলি ব্রিজ পানিতে ডুবে যাওয়ায় গাড়ি পারাপার করতে পারিনি। গাড়ি থেকে নেমে খেয়া পার হয়ে কুয়াকাটা আসতে তার দ্বিগুণ খরচ হয়েছে।
কুয়াকাটার মৎস্য ব্যবসায়ী রহিম খান জানান, এক ট্রাক মাছ ঢাকার মোকামে পাঠাতে গিয়ে তিন ঘণ্টা ফেরি পারাপার বন্ধ ছিলো।
দীর্ঘদিন ধরে পটুয়াখালী ফেরী বিভাগের দুর্নীতি ও অবহেলায় ফেরীসহ ঘাটের সকল অবকাঠামোর বেহালদশা হয়ে পড়েছে। এমন অভিযোগে ইতোপূর্বে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পটুয়াখালী সেতু বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: হুমায়ুন কবির পান্না জানান, ওই দুটি নদীর উপর সেতু নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। সেতু দুটি উন্মুক্ত হলে কুয়াকাটায় আসা পর্যটকদের আর এ ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।
ভুক্তভোগীদের দাবী ততদিন সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ফেরী ঘাটের গ্যাংওয়ে উঁচু করে দেয়া হলে ফেরী পারাপারের বিড়ম্বনা অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে।