নিরাপত্তা পরিষদের পর এবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী করা না করার বিষয়টি সুরাহা করতে ভোটাভুটি হবে। বৃহস্পতিবার সাধারণ পরিষদের এক বিশেষ অধিবেশনে জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলো জেরুজালেম বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে এই ভোটে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের জেরুজালেম সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার আগেই সম্ভাব্য বিরোধীতাকারীদের জন্য হুমকি জুটে গেছে।
ভোট দেয়ার আগে সতর্ক থাকতে সাধারণ পরিষদের সদস্য দেশগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছেন জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি নিক্কি হ্যালি।
প্রভাবশালী গণমাধ্যম গার্ডিয়ান এমনকি ইসরাইলের হারেৎজের হাতেও এসেছে হুমকি দেয়া চিঠিটি। চিঠিতে হ্যালি সাবধান করে বলেছেন,যুক্তরাষ্ট্রের জেরুজালেম সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দেয়া দেশগুলোর নাম মনে রাখা হবে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভোটাভুটিতে তীক্ষ্ম নজর রাখছেন।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে পাঠানো চিঠিতে হ্যালি লিখেছেন,‘এই ভোট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিগত এবং যুক্তরাষ্ট্র স্বার্থগত দিক থেকে দেখছে। তাই আপনারা ভোট দেয়ার আগে আমি বিষয়গুলো জেনে রাখতে উৎসাহ দিলাম।’
চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন,‘প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) নিবিড়ভাবে বৃহস্পতিবারের ভোটাভুটির দিকে নজর রাখবেন এবং কোন কোন দেশ আমাদের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে সেসব দেশের নাম আমাকে জানাতে বলা হয়েছে।’
এই চিঠির ব্যাপারে এখনো কোন বিবৃতি দেননি নিক্কি হ্যালি। তবে গণমাধ্যমে এই চিঠি প্রকাশের আগে এক টুইট বার্তায় বৃহস্পতিবারের ভোটাভুটিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান হ্যালি।
টুইটারে তিনি লিখেছেন,‘মার্কিন জনগণের ইচ্ছায় আমরা আমাদের দূতাবাস কোথায় হবে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা যাদের সহায়তা দিয়ে এসেছি তারাই এখন ভোটের মাধ্যমে আমাদের টার্গেট করবে এটা আশা করা যায় না। বৃহস্পতিবার আমাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট হবে, আমরাও বিরুদ্ধে ভোট দেয়াদের নাম মনে রাখবো।’
এর আগে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে উত্থাপিত একটি খসড়া প্রস্তাবের ওপর নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হয়। এতে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের ১৪ সদস্য পক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র তাতে ভেটো দেয়।
এরপরই ১৯৩ রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটিতে আরব দেশসমূহ ও অর্গানাইজেশন অব দ্য ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)’র পক্ষ থেকে তুরস্ক ও ইয়েমেনের আহ্বানে সাধারণ পরিষদে এই বিশেষ অধিবেশন বসতে যাচ্ছে।