‘জানোয়ার’ এ বিস্ময়: কন্টেন্ট দিয়ে প্লাটফর্ম ব্রান্ডিং
‘অনেক বাংলা ওটিটি প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলো এডাল্ট কনটেন্ট দিয়ে আলোচনায় এসেছে, কিন্তু আমরা জেনুইন ভালো কনটেন্ট দিয়ে ইউজারদের সিনেম্যাটিক চিনিয়েছি’

গত তিনবছর ধরে একটু একটু করে এগিয়েছে দেশের নামী আইটি প্রতিষ্ঠান লাইভ টেকনোলজিসের ‘সিনেম্যাটিক’ অ্যাপ। সম্পূর্ণ দেশীয় এ ওটিটি প্লাটফর্মটির প্রযোজনায় সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে রায়হান রাফীর সাড়া জাগানো ওয়েব ফিল্ম ‘জানোয়ার’!
চ্যানেল আই অনলাইনের সাথে আলাপে লাইভ টেকনোলজিসের পরিচালক তামজিদ অতুল বললেন, ‘দেশের ৯০ শতাংশ মানুষই দেশের গল্পে দেশের কনটেন্ট দেখতে চান। ‘জানোয়ার’ ফিল্মটি অ্যাপ থেকে যে পরিমাণ মানুষ দেখেছে তাতে বিস্মিত হয়েছি। আলহামুদিল্লাহ আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।’

দেশীয় ওটিটি হিসেবে দেশের গল্পের প্রথম কনটেন্টে এতো সাফল্য আসবে তা চিন্তার বাইরে ছিল বলেও জানালেন তামজিদ অতুল। তিনি বলেন, অনেক বাংলা ওটিটি প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলো এডাল্ট কনটেন্ট দিয়ে আলোচনায় এসেছে। কিন্তু আমরা জেনুইন ভালো কনটেন্ট দিয়ে ইউজারদের সিনেম্যাটিক চিনিয়েছি। যারা ‘জানোয়ার’ দেখেছে প্রত্যেকেই হ্যাপি। লাভের বাইরে এ কনটেন্ট দিয়ে সিনেম্যাটিক অ্যাপ যেভাবে দর্শক চিনলো এটা অনেক বড় ব্রান্ডিং! এর চেয়ে কয়েকগুণ ইউজার যদি বাড়ে, আমরা অ্যাপ থেকে সাপোর্ট দিতে পারবো। এখানে অ্যাপে টেকনিক্যাল কোনো সমস্যা নেই। বাফারিং হয়না। পেমেন্ট সিস্টেম খুব সহজ।

তামজিদ অতুল বলেন, সবসময় গল্প খুঁজি। এমন একটা গল্প খুঁজছিলাম যা ধর্ষণের বিরুদ্ধে যায়। সেই সঙ্গে কনটেন্টটি দেখার মাধ্যমে মানুষ যেন ধর্ষকদের দেখে চরম ঘৃণার চোখে। মূলত এজন্যই ‘জানোয়ার’র গল্পটা নির্বাচন করেছিলাম। ২১ জানুয়ারি ‘ট্রল’ মুক্তি পাবে। পরের মাসে ছক, জিরো টলারেন্স আসবে। চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, প্রতিটি কনটেন্ট এই সময়ের উপযোগী গল্প, ঝকঝকে নির্মাণ। প্রত্যেকটি কনটেন্ট ভাইরাল হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, সিনেম্যাটিকে প্রতিমাসে দুটি অরিজিনাল সিরিজ এবং দুটি সিনেমা মুক্তি দেব। শুধু যে অ্যাপের জন্য কনটেন্ট তৈরি করবো তা নয়, ইউটিউবে লাইভ টেকের জন্য আলাদাভাবে কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে। ইউটিউব, অ্যাপ দুই মাধ্যমের জন্য তৈরি। বর্তমানে বাংলাদেশের দর্শক ‘সিনেম্যাটিক’ ব্যবহার করতে পারছে। ফেব্রুয়ারি থেকে গ্লোবালি ‘ইজি পেমেন্ট’ দিয়ে অন্যান্য দেশ থেকে দর্শক কনটেন্ট দেখতে পাবেন।

লাইভ টেকনোলজিসের পরিচালক তামজিদ অতুল আরো বলেন, সিনেম্যাটিককে ‘বাংলা সিনেমার আর্কাইভ’ হিসেবে গড়ে তুলছি। দেশের সিনেমাগুলো সংরক্ষণের সু-ব্যবস্থা নেই। অনেক কালজয়ী সিনেমা সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে গেছে। সবগুলো ছবিই পাওয়া যাবে ‘সিনেমাটিক’ অ্যাপে। দর্শকরা সহজেই এতে দেশের যে কোনো মুঠোফোন অপারেটর, নগদ ও ভিসা, ক্রেডিট ও মাস্টার্ড কার্ড দিয়ে নির্ধারিত পরিমাণ অর্থে সাবস্ক্রাইব করে সকল কন্টেন্ট উপভোগ করতে পারছেন। আগামিতে সিনেমার দৈর্ঘ্যের অরিজিনাল, ওয়েব ফিল্ম, ওয়েব সিরিজ অনেকগুলো নতুন কাজ হাতে নিয়েছি। চলতি বছরব্যাপী আমাদের কাজ চলবে। পরিকল্পনা মাফিক আগাতে পারলে নিকট ভবিষ্যতে আমরা অনেক ভালো স্থানে পৌঁছুতে পারবো ইনশাল্লাহ।